বন্দরের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন: শুভেন্দু

বন্দরের আইএনটিটিইউসি কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সন্ধ্যায় আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত হলদিয়া বন্দরের স্থায়ী কর্মী ইউনিয়নের সাধারণ সভায় এসে শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমাদের ইউনিয়নের অনেক সদস্য রয়েছেন। কিন্তু বন্দরের সমবায় নির্বাচনে তার প্রতিফলন ঘটেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৫ ০১:১১
Share:

সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখছেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।

বন্দরের আইএনটিটিইউসি কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত হলদিয়া বন্দরের স্থায়ী কর্মী ইউনিয়নের সাধারণ সভায় এসে শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমাদের ইউনিয়নের অনেক সদস্য রয়েছেন। কিন্তু বন্দরের সমবায় নির্বাচনে তার প্রতিফলন ঘটেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা স্থানীয় সাংসদ সদস্য হিসাবে আমার উপরে আপনাদের আস্থা রয়েছে। অথচ দেখা যাচ্ছে, বন্দরের সমবায় নির্বাচনে আমরা ভাল ফল করতে পারেনি।” এরপরই তিনি বলেন, “তা হলে কি আমাদের ত্রুটি বিচ্যুতি আছে? থাকলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।” আগামী ২৭ মার্চ হলদিয়া ডক ইনস্টিটিউটের নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দেন তিনি।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স কনজিউমার সোসাইটি আইএনটিটিইউসি দখলে রাখতে পারলেও ফল ভাল করতে পারেনি। সম্প্রতি হলদিয়া পোর্ট এমপ্লয়িজ কো অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির ভোটেও অরাজনৈতিক সংগঠন কলকাতা পোর্ট শ্রমিক ইউনিয়ান জয়ী হয়। এই নির্বাচনে ৫৪টি আসনের মধ্যে আইএনটিটিইউসি-র ইউনিয়ান মাত্র ৭টি আসনে জেতে। এই ফলগুলি মাথায় রেখেই শুভেন্দু আলোচনা এবং লড়াইয়ের বার্তা দিলেন বলে রাজনৈতিক মহলের মত।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় একাধিক দাবিতে হলদিয়া বন্দরের অফিসার্স ক্লাবের সভাগৃহে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত এনইউডব্লিউডব্লিউ (আই)-এর সাধারণ সভা হয়। সেখানে শুভেন্দুবাবু ছাড়াও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অসীম সূত্রধর উপস্থিত ছিলেন। শুভেন্দু-র অভিযোগ, “কেন্দ্রীয় সরকার বন্দর-সহ অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বেসরকারিকরণের চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” হলদিয়া বন্দরের ড্রেজিং সাবসিডি-সহ অন্য বকেয়ারও দাবি তোলেন তিনি। তিনি দাবি তোলেন, “বন্দরের ২ ও ৮ নম্বর বার্থের দ্রুত ওয়ার্ক অর্ডার দিতে হবে। বন্দরের অব্যবহৃত জমিকে কাজে লাগাতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন