বন্ধ পড়ে নয়া শৌচাগার, শহরের পথে ভোগান্তি

কোনওটা মাস ছয়েক আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। কোনওটা তারও আগে। মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ)-এর উদ্যোগে নির্মিত শৌচাগারগুলো এখনও তালাবন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে। ফলে, শহরের পথে বেরনো মানুষজন প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষ করে সমস্যায় পড়ছেন মহিলারা। গত তিন বছরে এমকেডিএ-র উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরে মোট পাঁচটি শৌচাগার তৈরি হয়েছে। চালু হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৪ ০০:২২
Share:

চালু হয়নি বটতলারচক।

কোনওটা মাস ছয়েক আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। কোনওটা তারও আগে। মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ)-এর উদ্যোগে নির্মিত শৌচাগারগুলো এখনও তালাবন্ধ হয়েই পড়ে রয়েছে। ফলে, শহরের পথে বেরনো মানুষজন প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষ করে সমস্যায় পড়ছেন মহিলারা।

Advertisement

গত তিন বছরে এমকেডিএ-র উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরে মোট পাঁচটি শৌচাগার তৈরি হয়েছে। চালু হয়নি। শহরবাসীর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় শৌচাগারগুলি চালু হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। এমকেডিএ-র চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “পথচলতি মানুষের সুবিধার্থেই শৌচাগারগুলো তৈরি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এগুলো চালু হবে।” কিন্তু এতদিনেও চালু হল না কেন? কর্তৃপক্ষের মতে, শুধু চালু করলেই তো হবে না। তা দেখভালও করতে হবে। সেই প্রক্রিয়া মেটাতেই কিছুটা সময় লেগে গিয়েছে। শেষমেশ দরপত্র আহ্বান করে প্রতিটি শৌচাগার দেখভালের দায়িত্ব এক-একজনকে দেওয়া হয়েছে। সোমবারই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ বার শৌচাগার চালু হবে।

মেদিনীপুর শহরের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার। তার উপর পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সদর হওয়ায় রোজই অন্য প্রান্তের মানুষ নানা কাজে এই শহরে আসেন। শৌচাগার না থাকায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। বাম-আমলে এমকেডিএ-র উদ্যোগে সদর শহরে পাঁচটি শৌচাগার তৈরি হয়েছিল, অরবিন্দ শিশু উদ্যানের সামনে একটি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে দু’টি, কেরানিতলায় একটি এবং রাঙামাটির এক বেসরকারি হাসপাতালের সামনে একটি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে তিন বছরে আরও পাঁচটি শৌচাগার তৈরি হয়েছে। বটতলাচকে একটি, হোসনাবাদে একটি, মেদিনীপুর জেলা আদালত ক্যাম্পাসে একটি, শেখপুরায় একটি এবং নিবেদিতাপল্লিতে একটি। প্রতিটি শৌচাগারের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।

Advertisement

জর্জ কোর্ট চত্বরের শৌচাগার।

পরের এই পাঁচটি শৌচাগারের একটিও চালু হয়নি। অনেক সময়ই রাস্তার আশপাশে শৌচাগার না থাকায় সমস্যায় পড়েন পথচলতি মানুষ এবং নিত্যযাত্রীরা। সমস্যা বেশি মহিলাদের। শহরের বাসিন্দা সুরজিৎ রায়, সৌরভ সাহুদের কথায়, “পড়ে থেকে সাজানো শৌচাগার নষ্ট হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত, দ্রুত এগুলো চালু করা।”

এমকেডিএ-র চেয়ারম্যান মৃগেনবাবুর অবশ্য দাবি, এ ক্ষেত্রে উদাসীনতার অভিযোগ ঠিক নয়। তাঁর কথায়, “আমরা তাড়াহুড়ো করে শৌচাগারগুলো চালু করে দিতে চাইনি। তাই দরপত্র আহ্বান করে শৌচাগারগুলোর দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বার খুব শীঘ্রই শৌচাগারগুলো চালু হবে।”

—নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন