ধৃত ৪২

ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে র‌্যালিতে

ভুয়ো আবাসিক শংসাপত্র নিয়ে সেনাবাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ৪২ জন যুবক। মঙ্গলবার রাতে খড়্গপুরের সেরসা স্টেডিয়ামে চলা ‘আর্মি র‌্যালি’ থেকে টাউন থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০১
Share:

ভুয়ো আবাসিক শংসাপত্র নিয়ে সেনাবাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ৪২ জন যুবক। মঙ্গলবার রাতে খড়্গপুরের সেরসা স্টেডিয়ামে চলা ‘আর্মি র‌্যালি’ থেকে টাউন থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।

Advertisement

র‌্যালির দায়িত্বে থাকা কর্নেল সঞ্জয় কোচার বলেন, “ওই ৪২ জন আদতে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের বাসিন্দা। তাঁরা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার আবাসিক শংসাপত্র নিয়ে র‌্যালিতে যোগ দিয়েছিল। ওই যুবকদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” তবে, অভিযুক্তেরা কী ভাবে একই এলাকার জাল আবাসিক শংসাপত্র পেল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। কোনও বড় চক্র এই ঘটনায় যুক্ত বলে অনুমান পুলিশের। বুধবার ধৃতদের মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করানো হলে দু’জনের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। বাকিদের তিন দিনের জেল হেফাজত হয়।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে খড়্গপুরে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের র‌্যালি শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের কর্মপ্রার্থী যুবকদের জন্য শুরু হওয়া এই র‌্যালি চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তার মধ্যে ১৬ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলছে সেনাবাহিনীর জেনারেল ডিউটি পদে নিয়োগের পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় যোগ দেওয়া কর্মপ্রার্থীদের ময়দানেই দৌড়, ইন্টারভিউ, শারীরিক পরীক্ষার পরে শংসাপত্র যাচাই করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার কর্মপ্রার্থীর ভিড় জমছে খড়্গপুরের এই সেরসা স্টেডিয়ামে।

Advertisement

সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে খবর, মঙ্গলবারও পরীক্ষা চলছিল। ওই দিন কলকাতা, হাওড়া ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার প্রার্থী বাছাইয়ের পর্ব ছিল। সেখানেই যোগ দেন অভিযুক্তেরা। তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার আলিপুরের মহকুমাশাসকের কার‌্যালয় থেকে নেওয়া আবাসিক শংসাপত্র। ওই কর্মপ্রার্থীরা নিজেদের আলিপুরের বাসিন্দা বলেই পরিচয় দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১-২২ বছরের ওই যুবকদের আবাসিক শংসাপত্র দেখে তাঁদের যোগ দিতে দেওয়া হয়। দৌড়, ইন্টারভিউয়ের ধাপ পেরিয়ে সন্ধ্যায় শংসাপত্র যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। সেই সময় ওই যুবকদের কথাবার্তার ধরন দেখে সন্দেহ হয় সেনা আধিকারিকদের। তাঁরা আলিপুর মহকুমাশাসকের কার‌্যালয়েও যোগাযোগ করেন। তখন ৪২ জনের আবাসিক শংসাপত্র ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়। রাতেই খবর দেওয়া হয় টাউন থানার পুলিশকে। এরপরই গ্রেফতার হন অভিযুক্তেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন