মাওবাদী দমনে পশ্চিমবঙ্গই দেশে মডেল, দাবি মুকুলের

উগ্রপন্থা দমনে ‘পশ্চিমবঙ্গ মডেল’ই সর্বভারতীয়স্তরে প্রশংসিত হয়েছে বলে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। রবিবার বিকেলে লালগড়ের ধরমপুর গ্রামের মাঠে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের একটি জনসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে এসে মুকুলবাবু বলেন, “ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল উগ্রপন্থা। শুধু প্রশাসন-পুলিশ দিয়ে উগ্রপন্থার মোকাবিলা করা যায় না। এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন দিয়ে উগ্রপন্থার মোকাবিলা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৪ ০১:২৯
Share:

সাইকেল বিলির পর এক খুদের সঙ্গে মুকুল রায়। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।

উগ্রপন্থা দমনে ‘পশ্চিমবঙ্গ মডেল’ই সর্বভারতীয়স্তরে প্রশংসিত হয়েছে বলে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। রবিবার বিকেলে লালগড়ের ধরমপুর গ্রামের মাঠে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের একটি জনসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে এসে মুকুলবাবু বলেন, “ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল উগ্রপন্থা। শুধু প্রশাসন-পুলিশ দিয়ে উগ্রপন্থার মোকাবিলা করা যায় না। এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন দিয়ে উগ্রপন্থার মোকাবিলা করা হয়েছে। মানুষের দু’বেলা অন্নের সংস্থান হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আরও রাস্তাঘাট, সেতু, স্কুল-কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। উগ্রপন্থা দমনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো এই পথ সারা দেশে মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।” মুকুলবাবুর দাবি, “আমাদের রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা যখন দিল্লিতে বৈঠক করতে যান, তখন অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিরা স্বীকার করেন, উগ্রপন্থা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।” মুকুলবাবু বলেন, “২০০৯-১০ সালে এখানকার মানুষ পুলিশকে দেখলে ভয় পেত। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশ এখন জঙ্গলমহলবাসীর বন্ধু।”

Advertisement

এ দিন লালগড়, শালবনি ও কোতোয়ালি এই তিনটি থানা এলাকার ২৭৫টি গ্রামের আড়াই হাজার বাসিন্দাকে নানা ধরনের পরিষেবা দেওয়া হয়। রাজ্য সভার সাংসদ মুকুলবাবু প্রধান অতিথি হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। এ দিন ওই অনুষ্ঠানে বাসিন্দাদের হাতে সাইকেল, মুরগি, বাসনপত্র, ছাতা ও পোষাক তুলে দেন মুকুলবাবু। সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত পুলিশের উদ্যোগে স্বাস্থ্য শিবির করে বিভিন্ন গ্রামের প্রায় তিন হাজার বাসিন্দার চিকিৎসা করা হয়। প্রায় সাত হাজার মানুষকে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “পুলিশ-প্রশাসন সব সময়ই এলাকাবাসীর পাশে রয়েছে। আমরা চাই মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকুন।” অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিশাল গর্গ, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলা পরিষদের কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ প্রমুখ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement