মিড ডে মিলে শাক-ভাত, বিক্ষোভ স্কুলে

মিড-ডে মিলে অনিয়ম, পড়াশোনার মান খারাপ-সহ একাধিক অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। খড়্গপুরের আয়মা-আরামবাটি সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলের বুধবারে ওই ঘটনা ঘটে। তবে এই বিক্ষোভের কর্মসূচিকে স্কুলেরই একাংশ শিক্ষকও সমর্থন করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৪ ০০:৫০
Share:

মিড-ডে মিলে অনিয়ম, পড়াশোনার মান খারাপ-সহ একাধিক অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। খড়্গপুরের আয়মা-আরামবাটি সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলের বুধবারে ওই ঘটনা ঘটে। তবে এই বিক্ষোভের কর্মসূচিকে স্কুলেরই একাংশ শিক্ষকও সমর্থন করেন। তাঁদের প্রত্যেকের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির উদাসীনতায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই স্কুলের পঠনপাঠন চালছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুর পশ্চিম চক্রের আওতাধীন ১৯৫৪ সালে এই স্কুলটি স্থাপিত হয়। এই স্কুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। স্কুলে একটি টাইমকল রয়েছে। তবে স্কুল চলাকালীন তা থেকে জল পড়ে না। নেই শৌচাগার কিংবা সীমানা পাঁচিলও। প্রশ্ন রয়েছে স্কুলের পড়াশোনার মান নিয়েও। তার উপরে আয়মা-আরামবাটি সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলের মিড-ডে মিল অনিয়মিত। তাছাড়া স্কুলে যে মিড-ডে মিল দেওয়া হয়, তাও নিম্নমানের বলে অভিযোগ।

শিক্ষকদের একাংশের আবার দাবি, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তাই ওই স্কুলে সার্বিক অব্যবস্থা চলছে। সমস্ত অভিযোগ আগেই বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। সম্প্রতি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এসে অভিযোগ খতিয়ে দেখতেও যান। কিন্তু তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই এ দিন প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা।

Advertisement

অভিভাবক কৈলাশ বাহাদুর প্রধান, লিলি দাসের অভিযোগ, পাশের প্রাথমিক স্কুলটি এই হাইস্কুলের থেকেও উন্নত। শহরের বুকে এই স্কুলের মিড-ডে মিলে শাক-ভাত ছাড়া অন্য কিছু হয় না। পড়ুয়াদের জন্য নেই শৌচাগারও। ইংরেজির শিক্ষক দুলালচন্দ্র রাউল বলেন, “আমাদেরও শৌচাগার নেই। এই প্রধান শিক্ষকের আমলে স্কুল অন্ধকারে চলে যাচ্ছে।”

কেন এই অবস্থা? যার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগের আঙুল সেই প্রধান শিক্ষক তুষারকান্তি ভক্তা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।

স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় মাহাতোর কথায়, “কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে অভিভাবকদের করা সব অভিযোগ ঠিক নয়।” খড়্গপুর পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক গৌতম সামন্ত বলেন, “স্কুলে গিয়ে দেখেছি দেওয়া টাকা অনুযায়ী সেভাবে কাজ হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন