বেলদায় তৃণমূলের মিছিল।—নিজস্ব চিত্র।
সারদা-কাণ্ডে মদন মিত্র গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিল-বিক্ষোভের কর্মসূচি চলছেই। মঙ্গলবার বেলদা শহরে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলের জেরে যানজটে পড়েন সাধারণ মানুষ। এ দিন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে বেলদা ঢোকার মুখে কালীমন্দির থেকে বিদ্যাসাগর মূর্তি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথে মিছিল হয়। এর পর বেলদা বাসস্ট্যান্ডে পথসভাও করেন তৃণমূল নেতারা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত্ ঘোষ, জেলা সহ-সভা রমাপ্রসাদ তেওয়ারি, ব্লক সভাপতি মিহির চন্দ, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি কৌসর আলি প্রমুখ। এ দিন ঝাড়গ্রামেও তৃণমূলের মিছিল হয়। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্ত রায় প্রমুখ।
সভায় তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত্ ঘোষের অভিযোগ, “দিল্লি থেকে আসা বিজেপি নেতারা কয়েকদিন আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই মতো বিজেপির তোতাপাখি সিবিআই যে চক্রান্ত করেই পরিবহণমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে, তা প্রমাণিত। আর রাজ্যে বসে সূর্যকান্ত মিশ্ররা আমাদের নেত্রীকে গ্রেফতারের স্বপ্ন দেখছেন। সূর্যবাবুদের বলছি, ঘোর কাটিয়ে নিজেদের জামানত সামলান।”
এ দিন তৃণমূলের মিছিল-পথসভার জেরে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থাকেন নিত্যযাত্রীরা। অনেককে জাতীয় সড়ক দিয়ে ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। মিছিলের জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি প্রসঙ্গে প্রদ্যোতবাবুর যুক্তি, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের চাপে যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে, তাতে মানুষ ক্ষুব্ধ। তাই স্বেচ্ছায় এত মানুষ পথে নেমে নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।”
এ দিন অরণ্যশহরের পাঁচ মাথার মোড়ে একটি পথসভায় দীনেনবাবুরা অভিযোগ করেন, “সংবাদমাধ্যমের একাংশ রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করছে।” আরও এক ধাপ এগিয়ে শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “যে সব সংবাদমাধ্যম আমাদের বিরুদ্ধে কুত্সা করছে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচার-প্রতিরোধ করতে হবে।”