মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে অচলাবস্থা চলছেই

পাঁচদিন পরও জলের নিকাশি সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা অচলাবস্থা বজায় রাখল গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। সোমবারও গ্রামবাসীর টানা আন্দোলনে খুলল না ডেবরার মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। এ দিনও সুষ্ঠু নিকাশির দাবিতে সরব ১৭টি গ্রামের বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান। গত ১৩ অগস্ট থেকে চলছিল এই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। ১৫অগস্ট থেকে টানা তিনদিন ছুটি থাকার পরে আশা করা হয়েছিল রফাসূত্র বেরোবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৪ ০০:৫৭
Share:

পাঁচদিন পরও জলের নিকাশি সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা অচলাবস্থা বজায় রাখল গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। সোমবারও গ্রামবাসীর টানা আন্দোলনে খুলল না ডেবরার মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। এ দিনও সুষ্ঠু নিকাশির দাবিতে সরব ১৭টি গ্রামের বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান। গত ১৩ অগস্ট থেকে চলছিল এই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। ১৫অগস্ট থেকে টানা তিনদিন ছুটি থাকার পরে আশা করা হয়েছিল রফাসূত্র বেরোবে। কিন্তু এ দিনও পরিস্থিতি বদল হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিনও পঞ্চায়েত অফিসে আসেন ব্লকের মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চকতাতার, মধুবণপুর, চককৃপাল, নরহরিপুর, চক হিরামণি-সহ প্রায় ১৭টি গ্রামের বাসিন্দারা। কাঁসাই নদী সংলগ্ন ওই এলাকার নদী থেকে কয়েক দশক ধরেই ভবানীপুর, গোলগ্রাম-সহ বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জল এই মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওপর দিয়ে যায়। এখন জল সমস্যায় জেরবার এলাকার বাসিন্দারা হিউম পাইপের(চোঙ) মুখ আটকে দেওয়ায় জল জমছে তুলনায় উপরের গ্রামগুলিতে। তাই বেহাল এই নিকাশির স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মতো সোমবারও পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধানেরা অফিসে ঢুকতে পারেন নি। বন্ধ অফিসে কাজ করতে না পারায় অফিসের কর্মীরা ফিরে গিয়ে বিডিও অফিসে উপস্থিতির খাতায় সই করেছেন। দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজে আসা সাধারণ মানুষ। আন্দোলনকারী দীপঙ্কর মণ্ডল, সুশীলকুমার পাত্ররা বলেন, ‘এতদিন হয়ে গেল তাও কারও হেলদোল নেই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।” ডেবরার বিডিও জয়ন্ত দাস বলেন, “মঙ্গলবার এই সমস্যা সমাধামে আলোচনায় বসব আমরা।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন