জীবন ও জীবিকার সুরক্ষার প্রশ্নে মৎস্যজীবীদের জন্য ভবিষ্যৎনিধি প্রকল্প চালু হতে চলেছে। সোমবার বিকেলে দিঘা মোহনায় ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সন্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশের দ্বিতীয় দিনে এমন কথাই জানালেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত দাস। এ দিন বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি প্রণবকুমার কর, সম্পাদক জয়কৃষ্ণ হালদার, বিধায়ক অখিল গিরি, দিঘা ফিসারমেন অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস ও কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী সমিতির সম্পাদক লক্ষ্মীনারায়ণ জানা । সন্মেলনে রাজ্যের ৫৬টি মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছাড়াও প্রতিবেশী ওড়িশারও একাধিক মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
দেবব্রতবাবু বলেন, “রাজ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে বিড়ি শ্রমিক নির্মাণ শ্রমিক এমনকী অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য ভবিষ্যৎনিধি প্রকল্প চালু রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মৎস্যজীবীদের জন্য কোনও ভবিষ্যৎনিধি প্রকল্প নেই। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে একটি সরকার ক্ষমতায় থেকেও রাজ্যের মৎস্যজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা বা সুরক্ষার দিক নিয়ে কোনও গঠনমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি। রাজ্যে পরিবতর্নের পর নতুন সরকার মৎস্যজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে সরকার গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছে।” ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনাইটেড ফিসারমেন অ্যাসোসিয়েশনের দু’দিন ব্যাপী রাজ্য সম্মেলনটি শেষ হয় সোমবার। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার নানা সমস্যা নিয়ে সম্মেলনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি আলোচনায় যোগ দেন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব কুমার কর জানান, “কেন্দ্রীয় সরকারের আইনানুসারে বনবাসীরা জঙ্গলে জীবিকার অধিকার পেলেও মৎস্যজীবীরা মৎস্যশিকারের অধিকার থেকে আজও বঞ্চিত হচ্ছেন। সুন্দরবন খাঁড়ি এলাকায় মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন নদী দিয়ে সমুদ্রতে ঢুকতেও বন দফতরের পক্ষ থেকে বাধা
দেওয়া হচ্ছে।” বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মেলনে আগামী দিনে মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার স্বার্থে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত ছাড়াও রাজ্যের মৎস্যজীবী উন্নয়ন স্বার্থে একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।