যাদবপুর-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি মানসের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১০
Share:

তমলুকে মানস ভুঁইয়া। —নিজস্ব চিত্র।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের নিমতৌড়িতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে মানসবাবু বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ মিনিট-আধঘণ্টার মধ্যেই অনেক সমস্যা দূর করে দেন। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী বদল করার পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা মেটাচ্ছেন না কেন?” তাঁর সংযোজন, “মুখ্যমন্ত্রী জেদাজেদি ছেড়ে, ইগো থেকে বেরিয়ে এসে অবিলম্বে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন।”

Advertisement

গত ৪ জানুয়ারি চণ্ডীপুরে যুব তৃণমূলের সভায় সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণ ও তারপর অভিযুক্ত যুবক দেবাশিসকে পাল্টা গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশের নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ তোলেন মানসবাবু। তাঁর কথায়, “রাজ্যের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের অন্যতম নেতৃত্বের উপর আক্রমণ নিন্দনীয়। কিন্তু যেভাবে সভার মঞ্চে পুলিশি নিরপত্তার মধ্যে একটা ছেলে মঞ্চে উঠে গিয়ে নেতৃত্বকে চড় মারছে এবং অভিযুক্তকে যে ভাবে গণপিটুনি দেওয়া হল, তাও সমান নিন্দনীয়।”

অন্য দিকে, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও আগামী ২০ জানুয়ারি শহিদ মিনারে সমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক করতে শনিবার নন্দীগ্রামে আসেন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্য। এ দিন বিকেলে নন্দীগ্রাম বাজারে ব্লক কংগ্রেস কার্যালয়ে আসেন অরিন্দমবাবু। দলের নেতা মিলন প্রধান, ব্লক মহিলা কংগ্রেস সভাপতি ইরা দাস-সহ ব্লক কংগ্রেস ও যুব সংগঠনের ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আগামী ২০ জানুয়ারি কলকাতার শহিদ মিনারে প্রদেশ কংগ্রেসের ডাক সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। ওই সমাবেশে নন্দীগ্রাম এলাকা থেকে দলের বেশী সংখ্যক সদস্য-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন অরিন্দমবাবু।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন