সালুয়া

যুবককে বিবস্ত্র করে মারধরের নালিশ

আইন রক্ষার দায়িত্ব যাঁদের হাতে, তাঁদের বিরুদ্ধেই আইন ভাঙার অভিযোগ উঠল। এক যুবককে বিবস্ত্র করে মারধর করে সেই ছবি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আপলোড করার অভিযোগ উঠল চার ইএফআর জওয়ানের বিরুদ্ধে। গত ৫ ডিসেম্বর সালুয়ার ঘটনা। অভিযোগকারীর কথায়, “ওই দিন রাতে বাড়ির বাইরে শৌচকর্ম করতে বেরলে সালুয়ার তৃতীয় ব্যাটালিয়নের চার ইএফআর জওয়ান তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। অপ্রীতিকর ছবিও তোলে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:১৫
Share:

আইন রক্ষার দায়িত্ব যাঁদের হাতে, তাঁদের বিরুদ্ধেই আইন ভাঙার অভিযোগ উঠল। এক যুবককে বিবস্ত্র করে মারধর করে সেই ছবি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আপলোড করার অভিযোগ উঠল চার ইএফআর জওয়ানের বিরুদ্ধে। গত ৫ ডিসেম্বর সালুয়ার ঘটনা। অভিযোগকারীর কথায়, “ওই দিন রাতে বাড়ির বাইরে শৌচকর্ম করতে বেরলে সালুয়ার তৃতীয় ব্যাটালিয়নের চার ইএফআর জওয়ান তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। অপ্রীতিকর ছবিও তোলে।”

Advertisement

যদিও প্রথমে পরিবারের কাউকে ওই যুবক ঘটনার কথা জানাননি। পরে সোশ্যাল সাইটে নিজের অপ্রীতিকর ছবি দেখে গত সোমবার বছর তেইশের ওই যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখন পরিবারের লোকেরা সব ঘটনার কথা জেনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় ওই যুবক ও তাঁর পরিবারের লোকেরা সুমন রাই ও তিন জন অজ্ঞাতপরিচয় ইএফআর জওয়ানের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার পুলিশ ওই চার জনের বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শন, মারধর ও সোশ্যাল সাইটে আপত্তিকর ছবি আপলোড করার অপরাধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করেছে। ইএফআরের ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার ফারাক আব্বাস বলেন, “খড়্গপুরের এসডিপিও ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন। তাঁকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।” খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে।”

ওই যুবকের অভিযোগ, “গত ৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা নাগাদ শৌচকর্ম করতে বাড়ির বাইরে যাই। সেই সময় চার ইএফআর জওয়ান আমার পরিচয় জানতে চায়। নিজের পরিচয় দেওয়ার পরই তাঁরা আমাকে মারধর শুরু করে।” তাঁর অভিযোগ, “ব্যারাকে বিবস্ত্র করে ফের মারধর করা হয়। মহিলাদের অন্তর্বাস পরিয়ে ছবিও তুলে চামরুসাইয়ের জঙ্গলে ছেড়ে দেয়।”

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বরও ডেবরায় এক নাবালিকা ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগ ওঠে সিআরপির এক সাব ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতারও হন ওই সাব ইন্সপেক্টর। গত ৯ নভেম্বর খড়্গপুরের মাদপুরে এক কিশোরীকে বাড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে এক ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার হন ওই ভিলেজ পুলিশও। এরপরে ফের এ ধরনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন