রেলবস্তিতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি বাসুদেবের

সারদা কাণ্ডে ‘সুবিধাভোগী’ মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করা উচিত বলে দাবি করলেন প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। সোমবার খড়্গপুরের বোগদায় রেল বস্তি উন্নয়ন সমিতির সভায় যোগ দিতে এসে বস্তিবাসীদের উন্নয়ন ও রেলের বস্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার দাবিও জানান রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাসুদেববাবু। সভায় উপস্থিত ছিলেন বস্তি উন্নয়ন সমিতির রাজ্য সম্পাদক সুখরঞ্জন দে, জেলা সহ-সম্পাদক অনিল দাস, অনুষ্ঠানের সভাপতি অনিতবরণ মণ্ডল প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৩৩
Share:

সারদা কাণ্ডে ‘সুবিধাভোগী’ মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করা উচিত বলে দাবি করলেন প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া। সোমবার খড়্গপুরের বোগদায় রেল বস্তি উন্নয়ন সমিতির সভায় যোগ দিতে এসে বস্তিবাসীদের উন্নয়ন ও রেলের বস্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার দাবিও জানান রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাসুদেববাবু। সভায় উপস্থিত ছিলেন বস্তি উন্নয়ন সমিতির রাজ্য সম্পাদক সুখরঞ্জন দে, জেলা সহ-সম্পাদক অনিল দাস, অনুষ্ঠানের সভাপতি অনিতবরণ মণ্ডল প্রমুখ।

Advertisement

রেলশহর খড়্গপুরের রেলের প্রায় ২৩টি বস্তি এলাকায় এখনও বিদ্যুৎহীন। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়েও ওই বস্তিবাসীদের বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি দেয়নি রেল। ২০১০ সালের পরে রেল এলাকাও পুরসভার অধীনে আসে। রেল এলাকার ৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য চলতি বছরেই বিদ্যুৎ বন্টন দফতরকে অনুমতি দেয় পুরসভা। সমিতির আন্দোলনের মুখে পড়ে বিদ্যুৎ দফতরও ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো মাস খানেক ধরে চিনাটাউন, শান্তিনগর, ধোবিঘাট, নিমপুরা বাজার বস্তি-সহ বিভিন্ন এলাকায় খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেছিল বিদ্যুৎ দফতর। কিন্তু রেলের বাধায় বিদ্যুদয়নের কাজ বন্ধ বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদেই এ দিন সরব হয় বস্তি উন্নয়ন সমিতি। সভায় বাসুদেববাবু বলেন, “অধিকার কেউ দিতে না চাইলে কেড়ে নিতে হয়। স্বাধীনতার এত বছর পরেও দেশের মানুষকে বিদ্যুতের জন্য পথে নামতে হবে এটা নিন্দনীয়। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে।”

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাসুদেববাবু বলেন, “সারদা কােণ্ডে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই প্রধান সুবিধাভোগী। কারণ, ওঁর কাছেই টাকা গিয়েছে। ওঁকে আগে জেরা করা হোক।” বাসুদেববাবু বলেন, “সুগত বসু সঠিক কথাই বলেছেন। যে টাকা লুঠ করেছে তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। রাজ্যে এ রকম ঘটনা কখনও দেখিনি। একজন লুঠেরার সমর্থনে লোকসভায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে অধিবেশন অচল করার চেষ্টা চলছে, এটা লজ্জাজনক।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন