পেট্রোল পাম্প করার অনুমতি মিলেছে সব দফতর থেকেই। এ বার তেল বিক্রির অনুমতি প্রয়োজন। সেই অনুমতি দিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের বিরুদ্ধে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খড়্গপুরের ব্যবসায়ী জি প্রিয়দর্শিনী এমনই অভিযোগ করেছেন। জেলাশাসক থেকে জেলা খাদ্য নিয়ামক, সকলের কাছে লিখি অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, “আমার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন খাদ্য দফতরের ইন্সপেক্টর পার্থ পণ্ডিত।” প্রিয়দর্শিনীর স্বামী জিএসএন মূর্তি বলেন, “স্ত্রী দু’বার খাদ্য দফতরে গিয়ে সব নথি জমা দিয়ে এসেছেন। পরে একজন কর্মীকে পাঠিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ইন্সপেক্টর পার্থ পণ্ডিত বারবার মালিককে দেখা করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। টাকাও চান।”
পার্থবাবু অবশ্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “উনি প্রয়োজনীয় নথি দেননি। তা ছাড়া, আমি যখন ঘটনাস্থল তদন্তে যাই, সেখানে মালিক বা তাঁর প্রতিনিধি ছিলেন না। তাহলে আমি কী ভাবে রিপোর্ট দেব। তাই ফোনে ডেকেছিলাম। ওঁরা কেন মিথ্যে অভিযোগ করছেন বুঝতে পারছি না।” খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। এ নিয়ে যাতে ফের জটিলতা না হয় সে জন্য শুক্রবার শুনানিও ডেকেছি। আশা করি, সমস্যা হবে না।”
খাদ্য দফতরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। রেশন ডিলার, রেশন ডিস্ট্রিবিউটার থেকে কেরোসিন তেল, সব ক্ষেত্রেই দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর যোগসাজশে রেশনে বরাদ্দ খাদ্যশস্য খোলাবাজারে চড়া দামে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যে কোনও কাজের জন্য ঘুষ চাওয়ার অভিযোগও নতুন নয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, পেট্রল পাম্প করতে বিভিন্ন দফতরের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সব শেষে লাগে তেল বিক্রির লাইসেন্স। এই লাইসেন্স দেয় খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। প্রতি বছর তা নবীকরণ করতে হয়। জি প্রিয়দর্শিনী খড়্গপুর লোকাল থানার সাঁকোয়ায় পাম্প তৈরির অনুমতি পেয়েছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি তেল বিক্রির অনুমতি চেয়ে তিনি আবেদন করেন। তারপর থেকেই নানা বাহানায় অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর টাকা চান বলে অভিযোগ।