দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং চলায় দফায় দফায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ডেবরা-সবং সড়কের ডেবরার গোদাবাজারে শুক্রবার দু’দফায় অবরোধ চলে। প্রথম অবরোধ হয় দুপুর ২টো নাগাদ। তারপরেও বিদ্যুৎ না আসায় বিকেল ৪টে থেকে ফের অবরোধে নামেন গ্রামবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেবরা সাব-স্টেশন বসে যাওয়ায় বালিচক, কালুয়া, মারোতলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তিন দিন আগে লোডশেডিং শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ এলেও বিকেলে প্রবল ঝড়ে বিদ্যুতের ১১ কিলো ভোল্টেজের একটি ডিপি ও ৩টি খুঁটি পড়ে যায়। এরপর থেকেই ব্লকের ডুঁয়া, রাধামোহনপুর ও জালিবান্দা পঞ্চায়েত এলাকায় টানা লোডশেডিং শুরু হয়।
গরমে নাকাল স্থানীয়রা এ দিন সকালে প্রথমে বালিচক বিদ্যুৎ অফিসে যান। তাঁদের দাবি, বিদ্যুৎ অফিস থেকে বেলা ১২টায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে জানালেও লোডশেডিং চলতে থাকে। প্রতিবাদে দুপুর ২টো নাগাদ পথ অবরোধ শুরু হয়। প্রায় ৪০মিনিট অবরোধের পরে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার এবং ওসি এসে একঘন্টার মধ্যে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এর পরেও বিদ্যুৎ না আসায় ফের বিকেল ৪টে থেকে অবরোধ শুরু হয়। অবরোধের পুরোভাদে থাকা মির্জা রহিম বলেন, “তিন দিন ধরে ভোগান্তি চলছে। লোডশেডিংয়ের দাপটে ঘরে সবেবরাতের আয়োজনে আটকে গিয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের আশ্বাসেও সুরাহা না হওয়ায় অবরোধে নামতে বাধ্য হয়েছি।”
এ দিকে গরমের অবরোধে বহু বাস, গাড়ি আটকে যায়। নাকাল হন সাধারণ যাত্রীরা। বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার কমলকুমার মাইতি বলেন, “হঠাৎ সাব-স্টেশনটি বসে যাওয়াতেই লোডশেডিং হয়েছিল। তা মেরামতের পরে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১১ কিলো ভোল্টেজের খুঁটি পড়ে গিয়ে সমস্যা হয়েছে।” বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বিদ্যুৎ আসার পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
ভাঙচুর। বিদ্যুৎ নেই এই অভিযোগে ইলেকট্রিক অফিসে ঢুকে লুঠপাট-ভাঙচুর চালালো জনা পঞ্চাশের একটি দল। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ ভগবানপুরের কোটনাউড়ি ইলেকট্রিক অফিসে। ভাঙচুরের পাশাপাশি হামলাকারীরা অফিসের ক্যাসবাক্স ভেঙে টাকা ছিনতাই করে বলেও অভিযোগ। ভগবানপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তথা স্টেশন ম্যানেজার ইন্দ্রনীল মাঝির অভিযোগ, “প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুঠ হয়েছে। বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছেন দুই ক্যাশিয়ার।” হামলাকারীদের কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।