স্কুল ফাঁকি দিয়ে রাজনীতি করা চলবে না বলে শিক্ষকদের বার্তা দিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার রামচন্দ্রপুর হাইস্কুলে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির তমলুক মহকুমা সম্মেলনে শুভেন্দুবাবু শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “নিজেদের অধিকার আদায়ে দাবিদাওয়া নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবেন। কিন্তু স্কুলের সময় ফাঁকি দিয়ে, স্কুলের কাজ বন্ধ করে আপনারা দয়া করে রাজনীতি করবেন না।” তিনি আর ও বলেন, “যখন আমাদের কর্মসূচি থাকবে, সেই কর্মসূচিতে অনেক সময় দলীয় নেতৃত্বদের যেতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনাদের জমানো ছুটি থেকে একটি ছুটি নিয়ে আপনার রাজনৈতিক কর্মসূচি বা অন্য কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।” কলেজ পরিচালন সমিতিতে থাকার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুবাবু এ দিন শিক্ষক সম্মেলনে বলেন, “কলেজ পরিচালন সমিতিতে থাকার জন্য রাজ্য সরকার ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক করে দিয়েছে, যেটা কখনও কল্পনা করা যায় না। সিপিএমের সময় ক্লাস ফোর পাশ, সিক্স পাশ করা লোকেরা স্কুলের পরিচালন সমিতিতে সম্পাদক, কলেজের পরিচালন সমিতিতে সভাপতি হয়ে মাতব্বরি করেছে। স্নাতকোত্তর পাশ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁরা চোখ রাঙিয়ে, আঙুল তুলে কথা বলত। আমাদের সরকার সাহসকিতার সঙ্গে এই নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনকে দলতন্ত্র মুক্ত করে, রাজনীতিমুক্ত করে যাতে প্রকৃত শিক্ষায় উন্নত করা যায়, সেজন্য বর্তমান রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এ দিন তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের সম্মেলনে শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমাদের জেলায় বিদ্যালয়গুলির উন্নয়নের জন্য গত পাঁচ বছর ধরে সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। গত এক বছরে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নে মোট প্রায় ১২ কোটি টাকা দিয়েছে।” শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমাদের জেলার ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির সাথে যুক্ত। তা সত্বেও দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা কঠোর পরিশ্রম করার ফলেই আমাদের জেলা মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হারে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে।” বক্তব্য রাখেন রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, পশ্চিম তৃণমূল মাধ্যমিক সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অজিত নায়েক, জেলা সভাপতি গোপাল সাহু প্রমুখ।