অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে ঘাটালবাসীর। পুজোর আগেই পরিবহণ দফতরের অফিস চালু হতে চলেছে ঘাটালে। গত বছর দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি ভাবে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশ মীনা বলেন, “ইতিমধ্যেই একজন কর্মী নিয়োগ হয়েছে। দ্রুত আরও তিনজন কর্মী নিয়োগ হবে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ঘাটালে পরিবহণ দফতরের অফিস চালু হয়ে যাবে।” সূত্রের খবর, আপাতত সপ্তাহে একদিন কাজ হবে। বাকিদিন গুলি একজন কর্মী দফতরের অন্য কাজ করবেন। পুজোর পর পুরোদমে কাজ শুরু হবে।
মহকুমা শহর হলেও এতদিন ঘাটালে পরিবহণ দফতরের নিজস্ব অফিস ছিল না। ফলে মোটরবাইক থেকে ছোট গাড়ি, বাস, লরি-সহ যাবতীয় যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, তিন মাস অন্তর কর জমা-সহ নানা কাজ করাতে ঘাটাল থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুরে ছুটতে হত। প্রায় দু’দশক ধরে ঘাটাল বাস মালিক সংগঠন, লরি মালিক সংগঠন থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই বহু আন্দোলন করেছেন। বিধায়ক শঙ্কর দোলইও বিষয়টি পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রকে জানিয়েছিলেন। বিধানসভাতেও প্রসঙ্গটি তোলেন শঙ্করবাবু। অবশেষে দাবি পূরণ হওয়ায় সকলেই খুশি। বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে পুলক প্রামানিক, প্রভাত পানেরা বলেন, “ফিটনেসের জন্য দু’দিন গাড়ি বন্ধ থাকত। কর দিতে সেই মেদিনীপুর যেতে অতিরিক্ত খরচও হত। এ বার এখান থেকেই সব হয়ে যাবে।” আপাতত ঘাটাল মহকুমা শাসকের দফতরেই পরিবহণ দফতরের অফিস চালু হচ্ছে। অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক-সহ চারটি পদের (অফিসার-কর্মী) অনুমোদন মিলেছে। সম্পন্ন ঘাটালে গাড়ির কমতি নেই। গোটা মহকুমায় প্রায় ৬০টি মোটর বাইকের শো-রুম রয়েছে। আছে একাধিক চার চাকার গাড়ির শো-রুম। ঘাটাল থেকে বাস, লরি কেনার সুবিধাও চালু হয়েছে।