জিলেট গার্ড সাফল্য হাতের মুঠোয়

সাফল্যের চাবিকাঠির হদিস দিতে কলেজে কর্মশালা

পড়াশোনা করেছেন। নিজের বিষয় ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডারও মজবুত। তবু চাকরির ইন্টারভিউতে ঘেমেনেয়ে একাকার। মনে হচ্ছে সব গুলিয়ে যাচ্ছে। ফলে মিলছে না সাফল্যও। অধরা সাফল্যের চাবিকাঠির সুলুকসন্ধান দিতে এ বার কলেজে কলেজে হাজির হচ্ছে আনন্দবাজার পত্রিকার সহযোগিতায় ‘জিলেট গার্ড সাফল্য হাতের মুঠোয়’ কর্মসূচি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৬
Share:

মেদিনীপুরের কেডি কলেজে কর্মশালা। সোমবার।—নিজস্ব চিত্র।

পড়াশোনা করেছেন। নিজের বিষয় ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডারও মজবুত। তবু চাকরির ইন্টারভিউতে ঘেমেনেয়ে একাকার। মনে হচ্ছে সব গুলিয়ে যাচ্ছে। ফলে মিলছে না সাফল্যও। অধরা সাফল্যের চাবিকাঠির সুলুকসন্ধান দিতে এ বার কলেজে কলেজে হাজির হচ্ছে আনন্দবাজার পত্রিকার সহযোগিতায় ‘জিলেট গার্ড সাফল্য হাতের মুঠোয়’ কর্মসূচি।

Advertisement

সোমবার মেদিনীপুর কলেজ ও কৈবল্যদায়িনী বাণিজ্য কলেজে এই সংক্রান্ত এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আরও চারটি কলেজে এই কর্মশালার আয়োজন করা হবে। আজ, মঙ্গলবার কেশপুরের সুকুমার সেনগুপ্ত মহাবিদ্যালয় ও নাড়াজোল রাজ কলেজে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। বুধবার কর্মশালা হবে ডেবরা থানা শহিদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি মহাবিদ্যালয় ও সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে।

সোমবার কর্মশালায় কলেজের ছাত্রছাত্রীদের হাতেকলমে ইন্টারভিউয়ে সফল হওয়ার আদব-কায়দা শেখানো হয়। ইন্টারভিউয়ে কী ধরনের পোশাক পরতে হবে, প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ধরন কেমন হবে- শেখানো হচ্ছে সবই। এক কথায়, নিজেকে মেলে ধরার, অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার যাবতীয় আদবকায়দা রপ্ত করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নেওয়া হচ্ছে, যাঁদের পরবর্তীকালে ভাল কোনও সংস্থায় চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে।

Advertisement

কমার্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শীর্ষেন্দু সারেঙ্গির কথায়, “হাতে কলমে এই ধরনের শিক্ষা পরবর্তীকালে খুব কাজে লাগবে। জীবনে তো এরকম অনেক ইন্টারভিউ দিতে হতে পারে। আগে থেকে এই ধরনের একটি কর্মশালায় থাকার সুযোগ মেলায় ভয়টা দূর হয়ে গেল।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ দাস মহাপাত্রের কথায়, “এখন তো একটি পদের জন্য একশো জন আবেদনকারী। সবার থেকে নিজেকে আলাদা করতে হবে। আমরা যখন ক্লাস নিই তখন এটা বোঝানোর অবকাশ তেমন থাকে না। তাই এই ধরনের উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের অনেকটাই এগিয়ে দেবে বলে আমি মনে করি।”

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তো আরও অনেক কলেজ রয়েছে। সেই সমস্ত কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কী তাহলে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন? তার জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি কলেজগুলির জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে একটি স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ১১টায় মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে এক কর্মশালায় আয়োজন করা হবে। সেখানে জেলার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন