স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পোশাক মেলা পূর্বে

পুজো আসছে। বিভিন্ন বাজারে পুজোর জামাকাপড় কেনার ভিড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর বাজার ধরতে স্বয়নির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি পোশাক নিয়ে মেলার আয়োজন হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের হাতে তৈরি শাড়ি-সহ বিভিন্ন পোশাক বিক্রির জন্য জেলার ন’টি ব্লকের বিভিন্ন বাজার ও স্থানে বিভিন্ন দিনে এই বস্ত্র মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:২২
Share:

পুজো আসছে। বিভিন্ন বাজারে পুজোর জামাকাপড় কেনার ভিড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজোর বাজার ধরতে স্বয়নির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি পোশাক নিয়ে মেলার আয়োজন হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের হাতে তৈরি শাড়ি-সহ বিভিন্ন পোশাক বিক্রির জন্য জেলার ন’টি ব্লকের বিভিন্ন বাজার ও স্থানে বিভিন্ন দিনে এই বস্ত্র মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আজ, সোমবার জেলা পরিষদ অফিসে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। জেলার ন’টি ব্লকের বিভিন্ন স্থানেও আজ থেকে শাড়ি মেলা শুরু হচ্ছে। জেলাশাসক অন্তরা আচার্য জানান, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের তৈরি বস্ত্র সামগ্রীর বিক্রিতে উত্‌সাহ দিতে পুজোর আগে এই বস্ত্র মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এতে ভাল সাড়া মিলবে।” জেলা প্রশাসন ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মধ্যে অনেকগুলি স্বনির্ভর গোষ্ঠী সদস্যরা শাড়ি-সহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও গৃহস্থালির সজ্জা সামগ্রী তৈরিতে যুক্ত রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের তৈরি এইসব সামগ্রী বিপণনের জন্য বিভিন্ন সময়ে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত মেলায় স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পুজোর আগে শুধুমাত্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের তৈরি বস্ত্র সামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন এলাকার জনবহুল বাজার বা স্থানে মেলার আয়োজন এই প্রথম। জেলার নন্দকুমার, মহিষাদল, কোলাঘাট, কাঁথি-১, ভগবানপুর-১, ভগবানপুর-২, রামনগর-২, পটাশপুর-১ ও খেজুরি-১ ন’টি ব্লকের জনবহুল তিনটি স্থানে পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিন বস্ত্র মেলার আয়োজন হবে। আজ, ৮ সেপ্টেম্বর থেকে মেলা শুরু হবে। মেলা চলবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। জেলার এই ন’টি ব্লকের বিভিন্ন স্থানে এই মেলা চলবে। জেলার ৭৬৩৫টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই বস্ত্র মেলায় যোগ দেবেন। জেলাশাসক জানান, পুজোর সময় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন বস্ত্র সামগ্রী বিক্রির সুযোগ যাতে বাড়ে, সেজন্য এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি আর্থিক দিক থেকে উপকৃত হবে।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন