প্লাস্টিকময় কলেজ মাঠ

সভা শেষে সাফাই হয়নি জঞ্জাল

সভা হয়েছে দু’দিন আগে। তবে এখনও হাল ফেরেনি মেদিনীপুর কলেজ মাঠের। চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। যেন মাঠে পা রাখাই দায়। অথচ, শহরের এই মাঠেই সকাল-বিকেল প্রচুর ছেলে খেলতে আসে। অনেকে প্রাত:ভ্রমণ করতে আসেন। মাঠ অপরিচ্ছন্ন থাকায় সমস্যায় পড়ছেন সকলেই। জানা গিয়েছে, পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মাঠ পরিস্কার করার ব্যাপারে পুরসভার কাছে অনুরোধ রাখা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১৬
Share:

সভা হয়েছে দু’দিন আগে। তবে এখনও হাল ফেরেনি মেদিনীপুর কলেজ মাঠের। চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। যেন মাঠে পা রাখাই দায়। অথচ, শহরের এই মাঠেই সকাল-বিকেল প্রচুর ছেলে খেলতে আসে। অনেকে প্রাত:ভ্রমণ করতে আসেন। মাঠ অপরিচ্ছন্ন থাকায় সমস্যায় পড়ছেন সকলেই। জানা গিয়েছে, পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মাঠ পরিস্কার করার ব্যাপারে পুরসভার কাছে অনুরোধ রাখা হয়েছে। পুর-কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন, দ্রুতই মাঠ পরিষ্কার করা হবে। শহরের উপপুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাস বলেন, “দিন কয়েকের মধ্যেই কলেজ মাঠ ফের আগের চেহারায় ফিরে যাবে।”

Advertisement

গত সোমবার এই কলেজ মাঠেই পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঠের একদিকে বড় মঞ্চ করা হয়েছিল। অন্য দিকে ছিলেন জঙ্গলমহল কাপে যোগ দেওয়া খেলোয়াড়রা। খেলোয়াড়দের টিফিন দেওয়া হয়েছিল। মূলত পড়ে থাকা সেই টিফিনের প্যাকেটেই মাঠটি এখন বেহাল হয়ে গিয়েছে। পুলিশের এক সূত্রে খবর, ওই দিন জঙ্গলমহলের চার জেলার প্রায় ৩৪ হাজার খেলোয়াড় মাঠে আসেন। প্রথমে খেলোয়াড়দের আনা হয়েছিল পুলিশ লাইন সংলগ্ন তেঁতুলতলার মাঠে। ফলে শুধু কলেজ মাঠ নয়, যত্রতত্র টিফিন প্যাকেট পড়ে থাকায় বেহাল হয়ে গিয়েছে তেঁতুলতলার মাঠও। এ নিয়ে পুলিশ-পুরপ্রশাসনকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।

সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক সারদা চক্রবর্তী বলেন, “খেলার মাঠের এই হাল দেখে সত্যিই অনেকের কষ্ট হচ্ছে। সভা হয়ে গিয়েছে। অথচ, পরিস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই।” বিজেপির শহর সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “মাঠে এ ভাবে নোংরা-আবর্জনা পড়ে থাকলে সমস্যা হবেই। গত সোমবার সভা হয়েছে। এ দিনেও মাঠ পরিষ্কারের কোনও উদ্যোগ নেই।”

Advertisement

মেদিনীপুর শহরে খেলাধুলোর উপযোগী মাঠের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সবথেকে বড় মাঠ গোলকুয়াচকের কাছে এই কলেজ মাঠই। এমনিতেই শহরে এখন খোলা জায়গার সংখ্যা কমছে। গত কয়েক বছরে কিছু খোলা জায়গায় বহুতল উঠেছে। মেদিনীপুর শহরে খেলাধুলো করার মাঠের সংখ্যাও কমে গিয়েছে। তাই শহরবাসীও চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই মাঠ আগের চেহারায় ফিরুক। পুরসভার এক কর্তার দাবি, “সভামঞ্চ খোলার কাজ চলছিল। তাই এই দু’দিন মাঠ পরিষ্কার করা হয়নি। সভামঞ্চ খোলার কাজ শেষ হয়েছে। এ বার মাঠ পরিস্কার করা হবে।”

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বর্ষশেষে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। বুধবার খড়্গপুরের নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে নাচ-গান-আবৃত্তি পরিবেশন করে স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন