সমস্যা মিটল না, ফের তালা মলিহাটি পঞ্চায়েতে

মহকুমাশাসকের আশ্বাসেও কাজ না হওয়ায় এবার পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিল মলিহাটির বাসিন্দারা। বুধবার ডেবরার মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা রাস্তা কেটে দেওয়ারও হুঁশিয়াড়ি দেন। নিকাশি সমস্যায় জেরবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা গত ১৩ অগস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:২৫
Share:

মহকুমাশাসকের আশ্বাসেও কাজ না হওয়ায় এবার পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিল মলিহাটির বাসিন্দারা। বুধবার ডেবরার মলিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা রাস্তা কেটে দেওয়ারও হুঁশিয়াড়ি দেন। নিকাশি সমস্যায় জেরবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা গত ১৩ অগস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করেন। সেই সময় আট দিন আন্দোলন চলার পরে বিডিও জয়ন্ত দাসের আশ্বাসে অবস্থান উঠে যায়। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে অবস্থান করেন ১৭টি গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গোলগ্রামের পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে আসা জল তাঁদের অঞ্চলের ওপর দিয়ে গোলগ্রামের পূর্ব দিক হয়ে ভসরার খালে পড়ে। কিন্তু গোলগ্রাম পূর্ব অংশের বাসিন্দারা জল আটকাতে হিউম পাইপের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই চাষের ক্ষতি হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, একাধিকবার আবেদন করেও নিকাশি সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান না হওয়ায় পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে অবস্থানে বসতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন। পরিস্থিতি সামলাতে মহকুমাশাসক সোমবার মলিহাটির সমস্ত পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রাথমিকভাবে নিকাশি সমস্যা মেটাতে গোলগ্রামের পূর্ব দিকে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে হিউম পাইপ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তারপর দু’দিন কেটে গেলেও পরিস্থিতির বদল না হওয়ায় এ দিন বিকেলে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিল মলিহাটির বাসিন্দারা। এ দিন ধর্নায় সামিল সুশীলকুমার পাত্র, জওহর বারিকেরা বলেন, “মহকুমাশাসক আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু তাতেও গোলগ্রামের বাধাও সমস্যার সমাধান হল না।” তাঁদের হুঁশিয়াড়ি, “আমরা আর অহিংস আন্দোলন চালাব না। তাই পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলাম। এর পরেও জলে পড়ে থাকতে হলে গোলগ্রামের দিকে যাওয়ার রাস্তা, বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেব।” এ দিন মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজছি। তাই কোনও একটি পক্ষকে পিছিয়ে আসতে হবে। যদি তা না বুঝে কেউ পঞ্চায়েত অফিস অচল করে অশান্তি করতে চায়, তবে অন্য ব্যবস্থা নিতেই হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন