পরীক্ষা দিচ্ছেন জখম ছাত্রীরা। তমলুক হাসপাতালে তোলা নিজস্ব চিত্র।
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন তিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের কালাগন্ডা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরই শুচিস্মিতা নায়েক, মমতা নায়েক ও পায়েল বেরা নামে ওই তিন পরীক্ষার্থীকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই এ দিন পরীক্ষা দেন ওই তিন ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের ভূগোল পরীক্ষা। সকাল ৯টা নাগাদ ট্যাক্সি চেপে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন তমলুকের কালাগণ্ডা রজনী বিদ্যাপীঠের ওই তিন পড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন শুচিস্মিতা নায়েকের বাবা প্রশান্ত নায়েক। পরীক্ষার্থীদের পরীাক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল তমলুকের নাইকুড়ি ঠাকুরদাস ইন্সটিটিউশনে। কাঁসাই নদীর বাঁধের মোরাম রাস্তায় একটি মোটরচালিত ভ্যানকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্যাক্সিটি উল্টে যায়। জখম হন তিন পরীক্ষার্থী-সহ ওই অভিভাবকও। স্থানীয় বাসিন্দারা জখমদের উদ্ধার করে ভর্তি করেন তমলুক জেলা হাসপাতালে।
এ দিকে দুর্ঘটনায় তিন উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর পেয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী নন্দী, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সমরেন্দ্র সাঁতরা প্রমুখ। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই পরীক্ষার্থীদের হাতের কনুই, মাথায় ও পায়ে চোট লেগেছে। জখম পরীক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তিনজনকেই জেলা হাসপাতালে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জেলা হাসপাতালের ফিমেল মেডিকেল ওয়ার্ডে বিছানায় বসে ওই তিনজন ছাত্রী এ দিন ভূগোল পরীক্ষা দেন।
মমতা নায়েকের বাবা প্রশান্তবাবু বলেন, “তিনজন পরীক্ষার্থীকে নিয়ে আমরা ট্যাক্সি নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথে আরও চার জনের ওই গাড়িতে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে গেল। তবে এটাই স্বস্তির যে মেয়ে তিনটে পরীক্ষা দিতে পেরেছে।” সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সমরেন্দ্র সাঁতরা বলেন, “দুর্ঘটনায় আহত ওই ছাত্রীদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষাকেন্দ্রের এক শিক্ষিকার নজরদারিতে হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”