১ জুন কৃষকসভার সমাবেশে সূর্যকান্ত

জঙ্গলমহলে দলের কৃষক সংগঠনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক জমি পুরুদ্ধারে নামছে সিপিএম। আগামী ১ জুন, সোমবার ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্রপার্ক লাগোয়া এলাকায় এক জনসমাবেশে হাজির থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা বিধানসভার বিরোধী দল নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সারা ভারত কৃষকসভার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৫ ০০:৫১
Share:

জঙ্গলমহলে দলের কৃষক সংগঠনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক জমি পুরুদ্ধারে নামছে সিপিএম। আগামী ১ জুন, সোমবার ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্রপার্ক লাগোয়া এলাকায় এক জনসমাবেশে হাজির থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা বিধানসভার বিরোধী দল নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সারা ভারত কৃষকসভার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। সমাবেশের আগে অরণ্যশহরের বলাকা মঞ্চে কৃষকসভার উদ্যোগে আয়োজিত কনভেশনেও থাকবেন সূর্যবাবু।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে সিপিএমের ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ জোনাল কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে ওই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন কৃষকসভার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক হরেকৃষ্ণ সামন্ত। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন কৃষকসভার জেলা সভাপতি তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ডহরেশ্বর সেন, সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় প্রমুখ।

হরেকৃষ্ণবাবু জানান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বনাঞ্চল এলাকার বাসিন্দাদের জীবনজীবিকার সমস্যা নিয়ে আগামী সোমবার সকাল ১০ টায় প্রথমে বলাকা মঞ্চে একটি কনভেনশন হবে। কনভেনশনে উপস্থিত হবেন তিন জেলার ১২০ জন প্রতিনিধি। কনভেনশন শেষে বিকেলে রবীন্দ্রপার্কের লাগোয়া এলাকায় জনসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন সূর্যবাবু। ওই দিন সমাবেশে বিশাল জনসমাগম হবে বলে দাবি করেন হরেকৃষ্ণবাবুরা।

Advertisement

এ দিন হরেকৃষ্ণবাবু ও ডহরেশ্বরবাবুরা অভিযোগ করেন, বনাঞ্চল এলাকার শ্রমজীবী মানুষরা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছেন না। রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল আসার পরে কেন্দ্রীয় বনাধিকার আইনটি কার্যকর করার কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। আদিবাসী-মূলবাসী ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের কোনও পরিকল্পনা নেই। উন্নয়নের প্রশ্নে শাসক দল ও রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন হরেকৃষ্ণবাবুরা।

মাওবাদী প্রসঙ্গে শাসক দলের সমালোচনা করে সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, “তৃণমূলই এক সময় এখানে মাওবাদীদের আশ্রয় দিয়েছিল। সেই মাওবাদী-জনগণের কমিটির নেতারা তৃণমূলের নেতা। মানুষের উপর অবিচার ও আক্রমণের জন্য ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন