দু’বছর আগে ফিরে এখনও মেলেনি কাজ

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাজস্থানে খুন হয়েছিলেন কালিয়াচকের বাসিন্দা আফরাজুল। এর পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ডাক দেন। এমনকি, ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের এককালীন ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৫
Share:

—ফাইল ছবি

কাশ্মীরে জঙ্গি-গুলিতে খুন হয়েছেন পড়শি জেলার পাঁচজন। আর তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মালদহেও। কেরল, রাজস্থান, অন্ধপ্রদেশে কর্মরত জেলার শ্রমিকেরা ফিরতে শুরু করেছেন ঘরে। অনেকে আবার ঘরে ফিরেই ঢুঁ মারতে শুরু করেছেন সরকারি অফিসগুলিতে। কারণ, আফরাজুল খানের হত্যাকাণ্ডের পরেই কাজ ও সরকারি সাহায্য চেয়ে প্রশাসনের কাজে আবেদন করেছিলেন কয়েক হাজার শ্রমিক। আবেদনের পর প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও এখনও তাঁরা কোনও সাহায্য পাননি বলে দাবি করেছেন আবেদনকারীরা।

Advertisement

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাজস্থানে খুন হয়েছিলেন কালিয়াচকের বাসিন্দা আফরাজুল। এর পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ডাক দেন। এমনকি, ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের এককালীন ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন। ওই ঘোষণার পর জেলায় ঘরে ফেরার হিড়িক পড়ে যায় শ্রমিকদের। আর ঘরে ফিরেই কাজ ও আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে শুরু করেন তাঁরা। সেইসব আবেদনপত্র জমা নিতে গিয়ে হিমশিম হতে হয় মালদহ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য বাঁশের ব্যারিকেড করে একাধিক কাউন্টার খোলা হয়। এমনকি, মোতায়ন করতে হয় পুলিশও। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রায় ৮০ হাজার মানুষ কাজ ও আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কাজ বা টাকা কিছুই মেলেনি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি, কাশ্মীরে জঙ্গি-গুলিতে মুর্শিদাবাদের পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মালদহের শ্রমিকেরা।

কালিয়াচকের জালালপুরের বাসিন্দা সুলেমান মিঞা, শাহাজান শেখেরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ভিন রাজ্য থেকে জেলায় ফিরে এসেছিলাম। বছরে দুশো দিন কাজ এবং ৫০ হাজার টাকা অনুদান চেয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে আবেদন করেছিলাম। ভেবেছিলাম আর যেতে হবে না ভিন রাজ্যে। তবে টাকা, কাজ কিছুই মেলেনি। ফের আমাদের কাজের সন্ধানে ছুটতে হচ্ছে ভিন রাজ্যেই।” মালদহের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, “আবেদনপত্রগুলি রাজ্যস্তরে পাঠানো হয়েছে। সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন