দু’বছর ডিজি পদে থাকছেন সুরজিৎ

রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) পদে অন্তত দু’বছরের মেয়াদ কাল নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যের বর্তমান ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়ার আদেশনামাও শুক্রবার জারি করেছে নবান্ন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৬ ০৯:০৬
Share:

রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) পদে অন্তত দু’বছরের মেয়াদ কাল নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যের বর্তমান ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়ার আদেশনামাও শুক্রবার জারি করেছে নবান্ন।

Advertisement

চলতি বছর ডিসেম্বর সুরজিৎবাবুর অবসর নেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁর মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি দু’বছর ডিজি থাকবেন। নবান্নে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে এক প্রেস বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে।

নবান্নের এক কর্তা জানান, ২০০৬ সালে ডিজিপি-র মেয়াদ অন্তত দু’বছর করতে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই রায়ের পরে কেন্দ্রীয় সরকার ক্যাবিনেট সেক্রেটারি, সেনাধ্যক্ষ প্রভৃতি পদেও ন্যূনতম মেয়াদ বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু বিগত ১০ বছরে রাজ্য এই নীতি মানেনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে এক পুলিশ কর্তা মাত্র তিন মাসের জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি হয়েছিলেন। সে সময়ও অনেকে এই নীতি কার্যকর করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাম সরকার তা মানেনি। এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সুপ্রিম কোর্টের পুরনো রায় মেনেই ডিজি পদের মেয়াদ কমপক্ষে দু’বছর করার সিদ্ধান্ত নিল। সুরজিৎবাবুই প্রথম এই নীতির সুবিধা পাচ্ছেন। নবান্নের অনেকে অবশ্য মনে করেন, সুরজিৎবাবুকে মুখ্যমন্ত্রী পছন্দ করেন। সেই আস্থার কারণেই তাঁকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত ডিজিপি রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

Advertisement

যদিও প্রকাশ সিংহ বনাম কেন্দ্রের মামলায় দেশে পুলিশি ব্যবস্থার যে সংস্কার হয়েছে, তা এখনও মানতে রাজি নয় রাজ্য। রাজ্যের প্রাক্তন আইপিএস অফিসার রামকৃষ্ণনকে মাথায় রেখে রাজ্য পুলিশেও একগুচ্ছ সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। তাতে পুলিশ সুপারদেরও ওই পদে অন্তত দু’বছর রাখার কথা বলা হয়েছে। ভোট চলাকালীন নির্বাচন কমিশন যে সব পুলিশ অফিসারকে সুপারের দায়িত্ব দিয়েছিল, তাদের সবাইকে সরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের একাংশের প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশেই তো পুলিশ সুপারদেরও দু’বছর পদে থাকার কথা। কিন্তু এক মাসের মধ্যে তাঁদের সরিয়ে দিল সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement