বিধানসভায় মন্ত্রীদের অপ্রিয় প্রশ্ন করে চাপে ফেলা সাধারণত বিরোধী দলের বিধায়কদেরই দস্তুর। কিন্তু সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে শাসক দলের বিধায়কের প্রশ্নেই অস্বস্তিতে পড়তে হল সরকার পক্ষকে। বিধায়কের তোলা সমস্যার দিকে নজর দিতে মন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন স্পিকারও।
অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণমন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো এ দিন বিধানসভায় একটি অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, তাঁর দফতর তফসিলি জাতি-উপজাতির শংসাপত্র দেওয়ার পদ্ধতি সরলীকরণ করেছে। এখন সাত দিনেই ওই শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। তখনই শ্যামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল অতিরিক্ত প্রশ্ন তুলে মন্ত্রীকে জানান, গ্রামবাংলায় ওই শংসাপত্র পেতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। তাঁর এলাকাতেই ২৫০-৩০০ পরিবার ভুক্তভোগী। এক বার বলা হচ্ছে, পাঁচ জন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে বিডিও-র দফতরে যেতে হবে। পরে আবার বলা হচ্ছে, সেই পাঁচ জনকে বিডিও-র দফতরে হাজির করাতে হবে! কালীপদবাবু বলেন, ‘‘মাননীয় মন্ত্রীকে বলছি, নিচু তলায় নামুন। আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলুন। সাত দিন নয়, সাত মাসে বলুন।’’ জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি বলিনি, সাত দিনের মধ্যে দেব। গড়িমসি সকলে করে না। তবে কেউ কেউ করে।’’ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ামণিবাবুকে বলেন, ‘‘আপনি দেখুন, যাতে নিচু তলায় তফসিলি জাতি-উপজাতির মানুষদের ওই শংসাপত্র পেতে সমস্যা না হয়।’’
তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল খালেক মোল্লাও এ দিন উল্লেখ-পর্বে জানান, মেটিয়াবুরুজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। অতএব এখন তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের নজরে আনতে চান।