মন্ত্রী: কোন্নগরে ছবিটি তুলেছেন প্রকাশ পাল
গঙ্গাভাঙন রোধে রাজ্য ‘ঠিকঠাক’ প্রস্তাব পাঠালে কেন্দ্র সরকার দ্রুত তা মঞ্জুর করবে। রবিবার হুগলিতে গঙ্গা সাফাই কর্মসূচিতে এসে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী।
নিজের দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে রবিবার দুপুরে হুগলির কোন্নগরের বারোমন্দিরে আসেন উমা। তাঁর কথায়, ‘‘মমতাজি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তো গঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করতে গিয়েছিলেন। আমি বলছি, গঙ্গা ভাঙন রোধে রাজ্য ঠিকঠাক প্রস্তাব পাঠালে দ্রুত মঞ্জুর করে দেব।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘এতে রাজনীতি থাকবে না। ওদের প্রস্তাব এবং আমাদের পদক্ষেপ সবটাই অনলাইনে দেওয়া হবে, যাতে আমজনতা সব জানতে পারেন।’’
উমা জানান, গঙ্গাকে নির্মল করতে কেন্দ্র সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তাঁর দাবি, ১০ বছরের মধ্যে গঙ্গার চেহারা আমূল বদলে যাবে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘হুগলিতে আর্সেনিকের সমস্যা দূর করার পরিকল্পনাও রয়েছে।’’ গঙ্গায় শুশুক কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গায় মাছেরাও সঙ্কটে। এই সব প্রাণীরা উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই বলতে পারব, গঙ্গা দূষণমুক্ত হয়েছে।’’
এ দিন কেন্দ্রীয় গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ডের চেয়ারম্যান কিরীটিভূষণ বিশ্বাস জানান, পান্ডুয়া এবং বলাগড়ে আর্সেনিক রোধের জন্য ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই টাকায় আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ তৈরি করা হবে।
এ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। গঙ্গায় বর্জ্য ফেলার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘‘কল-কারখানাগুলি নিজেদের ইচ্ছেমতো গঙ্গায় বর্জ্য ফেলতে পারে না। এ জন্য তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে নোটিস পাঠানো হবে।’’ উত্তরপাড়ার শিবতলা শ্মশানঘাট গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন এক ব্যক্তি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘নমামি গঙ্গে প্রকল্পে ওই শ্মশানঘাটের কাজ করব। প্রস্তাব জমা দিন।’’ শ্রীরামপুরের মাহেশে গঙ্গার পাড় দখলের অভিযোগ উঠলেও মন্ত্রী লিখিত জানাতে বলেন।
অনুষ্ঠান শেষে কোন্নগরের বারোমন্দিরে যান মন্ত্রী।