bolpur

সকলে জানে মৃত, এক দশক পর বাড়ি ফিরে চমকে দিলেন বোলপুরের বৃদ্ধা

শঙ্কর ভগতের স্ত্রী তারা ২০১০ সালে বোলপুরের একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৫৭
Share:

বাড়ি ফিরে পরিজনেদের সঙ্গে তারা ভকত। নিজস্ব চিত্র।

নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এক দশক আগে। স্বামী আর পরিজনেরা ভেবে নিয়েছিলেন, তিনি আর বেঁচে নেই। কিন্তু হঠাৎই ফিরে এসে পরিবার-প্রতিবেশীদের চমকে দিলেন ৬০ বছরের তারা ভকত।
বীরভূমের বোলপুরের হাটতলা ক্যানেলপাড় এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর ভকত। বোলপুর-শান্তিনিকেতন রোডে একটি মুদি দোকানের মালিক শঙ্করের স্ত্রী তারা ২০১০ সালে বোলপুরের একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়রিও করা হয়। কিন্তু খোঁজ মেলেনি তাঁর। স্বামী ও পরিবারের সদস্যেরা ভেবে নিয়েছিলেন, আর খোঁজ পাওয়া যাবে না।
কিন্তু সম্প্রতি শঙ্করের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুদূর ওড়িশার পুরীর এক যুবক। তিনি জানান, তারা পুরীর একটি আশ্রমে রয়েছেন। মোবাইলে তারার ছবিও পাঠান। এর পরেই তাঁকে পুরী থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্রিয় হয় পরিবার। অবশেষে শুক্রবার রাতে তারাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: উমর খালিদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলায় সায় কেজরীবালের

১০ বছর পরে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে পেরে খুশি শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। শঙ্কর শনিবার বলেন, ‘‘নানা জায়গায় খোঁজ নিয়েও তারাকে না পেয়ে আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ওকে ফিরে পেয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে।’’ ভগত দম্পতির ছেলে শুভাশিস সেনাকর্মী। কর্মরত দিল্লিতে। মাকে দেখতে ছুটে এসেছেন বোলপুরে। তিনি বলেন, ‘‘মাকে যে কোনওদিন আবার ফিরে পাব ভাবতেই পারিনি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ভোটের অনু-টোটকা কী হবে? ‘গোপন মেনু’, বললেন কেষ্ট

যদিও তিনি কী ভাবে পুরী পৌঁছলেন, তার উত্তর তারা নিজে বা তাঁর পরিবারের লোকেরা দিতে পারেননি। পরিবার-পরিজনের দাবি, মানসিক ভারসাম্য হারিয়েই তিনি ওড়িশায় চলে গিয়েছিলেন।’’ তারা এ দিন বলেন, ‘‘আমার মনে নেই কী ভাবে পুরী চলে গিয়েছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন