শতাব্দীর এসি বন্ধ, যাত্রাভঙ্গ বিধায়কদলের

প্রশ্ন ওঠে, জনপ্রতিনিধিরা তো প্রশাসনিক তৎপরতায় যাত্রা বাতিল করে অন্য ট্রেনে ঘরে ফিরলেন। কিন্তু অন্য যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে কী করলেন তাঁরা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৯ ০৩:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিধানসভার স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্যেরা হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেসে কালিম্পং সফরে যাচ্ছিলেন সোমবার। ওই ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কাজ না-করায় অন্য যাত্রীদের সঙ্গে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েন তাঁরা। পরে বিধায়কদের যাত্রা বাতিল করে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাঁদের কলকাতায় ফেরার ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

প্রশ্ন ওঠে, জনপ্রতিনিধিরা তো প্রশাসনিক তৎপরতায় যাত্রা বাতিল করে অন্য ট্রেনে ঘরে ফিরলেন। কিন্তু অন্য যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে কী করলেন তাঁরা? জবাব মিলছে না। তবে রেল জানায়, সন্ধ্যায় ওই ট্রেনের একটি জেনারেটর কার চালু হওয়ায় কিছুটা সুরাহা হয়। কিন্তু বিধায়কেরা ওই শতাব্দীতে আর সফর করতে চাননি। তাঁদের হাওড়ামুখী অন্য ট্রেনে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে প্রশাসন।

স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ওই সদস্যেরা সোমবার হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসে ওঠেন। ট্রেন ছাড়ার পরেই তাঁরা বুঝতে পারেন, এসি মেশিন কাজ করছে না। ওই বিধায়কদলের সদস্য তৃণমূলের তমোনাশ ঘোষ, কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তীদের অভিযোগ, ট্রেনে থাকা রেলকর্মীরা চেষ্টা করেও বাতানুকূল যন্ত্র চালু করতে পারেননি। হাওয়া চলাচলের জন্য এক সময় কামরার দরজা খুলে দেওয়া হয়। মনোজবাবু বলেন, ‘‘প্রচণ্ড গরমে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। বোলপুরে ট্রেন পৌঁছনোর পরে যাত্রীদের বিক্ষোভ শুরু হয়।’’

Advertisement

বিধায়কদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিধানসভার স্পিকারকে জানানো হয়। খবর যায় বীরভূমের পুলিশ সুপারের কাছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘বিধায়কদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসককে বিষয়টি জানাই। এসডিপিও-কে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিই।’’ জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘সব শুনে মহকুমাশাসককে ঘটনাস্থলে পাঠাই। মহকুমাশাসক এবং এসডিপিও ওই বিধায়কদের কলকাতায় ফেরার ব্যবস্থা করেন।’’

রেল সূত্রের খবর, বিভিন্ন কারণে শিয়ালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস ইদানীং প্রায়ই দেরিতে চলছে। সোমবারেও ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের পরে ছাড়ে বলে অভিযোগ। ট্রেন ছাড়ার পরে যাত্রীদের অভিযোগ পেয়ে রেলকর্মীরা চেষ্টা করলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানান, ওই ট্রেনের দু’টি জেনারেটর কারেই সমস্যা থাকায় শীতাতপ যন্ত্র চালাতে অসুবিধা হয়। ট্রেনটি বোলপুরে পৌঁছলে যাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ট্রেনটি বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বোলপুর স্টেশনেই আটকে থাকে। পরে রেলকর্মীদের চেষ্টায় সামনে ইঞ্জিনের দিকের জেনারেটর কার চালু হয়। রেলের পক্ষ থেকে ওই বিভ্রাটের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন