ছবি: এপি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট কাণ্ডে গুলিতে নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে ডাক পেয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গোপাল গুণ ও উত্তম বর্মণের পরিবারও। গোপালবাবু গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের সময় খুন হয়েছিলেন। বিজেপি কর্মী উত্তমবাবুও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দু’দিন আগে খুন হয়েছিলেন। উত্তমবাবুর স্ত্রী কল্পনাদেবী বুধবার দিল্লি রওনা দিয়েছেন। কিন্তু ছোট দুই বাচ্চা থাকায় দিল্লি যেতে পারেননি গোপালবাবুর স্ত্রী তপতীদেবী।
উত্তমবাবু তপন থানার দখলান এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্ত্রী আলপনা বর্মণ আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ানোয় শাসক দলের হুমকির মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের দু’দিন আগে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় উত্তম খুন হন বলে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারের অভিযোগ।
পেশায় ছোট ব্যবসায়ী গোপাল বাহিচা এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতিও ছিলেন। অভিযোগ, গত বছর ২২ এপ্রিল বাড়ি সামনে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। যদিও ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ওই দুটি ঘটনায় দলীয় কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা নেতা প্রবীর রায়। তিনি বলেন, ‘‘দু’টি মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক।’’ কিন্তু ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে তাঁর দাবি।
মোদীর শপথে যাচ্ছেন, চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হওয়া অরেন সিংহের পরিবারের সদস্যরাও। বুধবার বিকেলে কলকাতা থেকে রওনা দিলেন তাঁরা।
মোদীর শপথে ডাক পাওয়ায় এ বার রাজেশ ও তাপসের খুনের তদন্ত হবে বলে আশাবাদী দাড়িভিটের নিহত পরিবারের সদস্যরাও। এই দুই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিজেপি। উত্তরবঙ্গ সফরে আসার পরে মোদীর সঙ্গেও তাঁদের দেখা করানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। লোকসভা নির্বাচনে দাড়িভিট থেকে প্রচার শুরু করেছিল বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। বিজেপি উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘নির্দেশ মতোই ওই পরিবারগুলিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের হাতে খুন হওয়া পরিবারগুলোর পাশে বিজেপি রয়েছে।’’