গুলিতে নিহত মফিজুল আলি খানের বাবা শুকুর আলি সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা নিতে বৃহস্পতিবার ভাঙড় ২ ব্লক অফিসে যাননি। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ ক্ষোভ বৃদ্ধের। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘আরাবুল আর তার দলবল ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছে এলাকায়। ওদের জন্যই এত গণ্ডগোল। আরাবুলের সাজা চাই।’’
সরকারি ক্ষতিপূরণ না নেওয়ার কারণ হিসাবে এ দিন তিনি আরও বলেন, ‘‘গরিবের সংসার। এক লপ্তে ২ লক্ষ টাকা পেয়ে ক’দিন আর চলবে। পরিবারের একজনের অন্তত চাকরি চাই।’’ পাওয়ার গ্রিডের কাজ সরকারি ভাবে বন্ধ করার ঘোষণা হোক, এই দাবিও তুলছেন শুকুর।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্ষতিপূরণের ২ লক্ষ টাকার চেক নিতে না গেলেও ওই দিনই কংগ্রেসের পাঠানো ১০ হাজার টাকার সাহায্য নিয়েছেন শুকুর। শুক্রবার ফেরাননি সিপিএম নেতা ঋতব্রত ভট্টাচার্যের খামবন্দি সাহায্যের টাকাও। সরকারি সাহায্য নিতেই তাঁর যত আপত্তি।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়ের পাশে দেখা গিয়েছিল আরাবুল ইসলামকে। ছিলেন কাইজার আহমেদ, নান্নু হোসেনদের মতো আরও কয়েকজন নেতা। মুকুলবাবু জানিয়েছিলেন, মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত থাকার জন্যই চেক নিতে আসতে পারেননি মফিজুলের পরিবার। যদিও সরকারি সাহায্য ফেরানোর কারণ যে অন্য, তা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন সদ্য সন্তানহারা বাবা।
এ দিকে, জনজীবন এখনও শান্ত হয়নি ভাঙড়ে। কিছু দোকান খুললেও শুক্রবারও দেখে গেল, গ্রামের রাস্তাগুলিতে জায়গায় জায়গায় ইটের পাঁজা, গাছের গুঁড়ি এখনও সরেনি। তবে জটলা কিছুটা পাতলা হয়েছে। গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বহর চোখে পড়ল না। কেবল্ সংযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা, ওয়াইফাই— কিছুই কাজ করছিল না বৃহস্পতিবার। শুক্রবার কেবল্ সংযোগ ফিরে এলেও ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি। উল্টে, দিনভর মোবাইল পরিষেবাও ব্যাহত থেকেছে।