‘জেহাদে’র বাংলায় ভাগবত, কেরলে শাহ

আগামী লোকসভা ভোটের আগে বাংলা ও কেরল, অ-বিজেপি রাজ্যকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। যে কারণে দশমীর বাৎসরিক বক্তৃতায় ভাগবত দুই রাজ্যকে ‘জেহাদি’ তিরে বেঁধার পাশাপাশি সেখানে বিশেষ কর্মসূচিও নেওয়া হচ্ছে। কেরলে আজ থেকেই ‘জনরক্ষা যাত্রা’ শুরু করছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫২
Share:

ছবি: সংগৃহীত

কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে জেহাদি শক্তি সক্রিয় বলে সদ্য বিজয়া দশমীর ভাষণে অভিযোগ তুলেছেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তার দু’দিনের মধ্যেই কলকাতায় আরএসএস প্রধান। সায়েন্স সিটি মেন অডিটোরিয়ামে আজ, মঙ্গলবার সিস্টার নিবেদিতার জীবন ও অবদান নিয়ে বক্তৃতা করার কথা তাঁর। ভাগবতের এই দফার সফর শেষ হলে আরএসএসের আর এক সর্বভারতীয় নেতা কৃষ্ণগোপাল কলকাতায় আসবেন। ভাগবতের বিজয়া দশমীর ভাষণের তাৎপর্য তিনি বোঝাবেন শহরের কিছু বাছাই করা নাগরিক এবং বিদ্বজ্জনকে।

Advertisement

আগামী লোকসভা ভোটের আগে বাংলা ও কেরল, অ-বিজেপি রাজ্যকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। যে কারণে দশমীর বাৎসরিক বক্তৃতায় ভাগবত দুই রাজ্যকে ‘জেহাদি’ তিরে বেঁধার পাশাপাশি সেখানে বিশেষ কর্মসূচিও নেওয়া হচ্ছে। কেরলে আজ থেকেই ‘জনরক্ষা যাত্রা’ শুরু করছে বিজেপি। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত যে যাত্রায় অংশগ্রহণ করার কথা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। তার মধ্যে কেরলে বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক কোডিয়ারি বালকৃষ্ণনের জেলা কান্নুরে যাত্রায় থাকার কথা শাহের। সিপিএম-আরএসএস সংঘর্ষে প্রাণহানি, রক্তপাতের বহু ঘটনা ঘটেছে কান্নুরে। ফলে, সেই জেলায় বিজেপি সভাপতির যাত্রা করাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধরা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রূপান্তরকামীদের জন্য দ্বার মুক্ত যুব সিপিএমে

Advertisement

নিবেদিতার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘ভগিনী নিবেদিতা মিশন ট্রাস্টে’র আয়োজনে আজ কলকাতায় ভাগবতের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল মহাজাতি সদনে। বুকিং নিয়ে প্রাথমিক সম্মতি দেওয়ার পরেও মহাজাতি সদন কর্তৃপক্ষ পিছিয়ে আসেন বলে উদ্যোক্তাদের অভিযোগ। ভাগবতের অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার সেই ঘটনা নিয়ে দেশ জু়ড়ে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশিই সায়েন্স সিটির প্রেক্ষাগৃহে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলছেন, নিবেদিতার জন্মের দেড়শো বছর পালন করছে রামকৃষ্ণ মিশন। রাজ্য সরকারও নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন লন্ডন। তার পরে আবার সঙ্ঘের এই কর্মসূচিতে ঢোকার কি প্রয়োজন?

বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, বাংলা, কেরল বা ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতেই এখন বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। একে তো ওই সব রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের সংগঠন তেমন মজবুত নয়। তা ছাড়া, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে তাদের আর ভোট বাড়ানোর জায়গা তেমন নেই। তাই বাংলা-কেরলে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছেন ভাগবত, শাহেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন