ছেলে মোবাইলে মোমো খেলছে বলে সন্দেহ হয় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ শহরের স্কুলপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি পুলিশকে সে কথা জানান। পুলিশ ওই তরুণের বাড়িতে গিয়ে
তাঁর মোবাইলটি খতিয়ে দেখে। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি বিচিত্রবিকাশ রায়ের দাবি, ‘‘ওই তরুণের মোবাইলে মোমো গেমের কোনও হদিস মেলেনি।’’
মোমো নিয়ে অভিভাবকেরা সর্বত্রই চিন্তিত। পুলিশ জানায়, শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের ওই তরুণ তাঁর বাবার কাছে দু’হাজার টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি মোমো গেম খেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এ দিন বাধ্য হয়ে ওই তরুণকে তাঁর বাবা দু’হাজার টাকা দিয়েছেন। এর পর আর ওই তরুণের মোবাইলে কোনও গেমের হদিস মেলেনি। সত্যিই ওই তরুণের মোবাইলে মোমো গেম ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মোমোর প্রস্তাব পুলিশকর্মীদেরও পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন এক মহিলা কনস্টেবল। জলপাইগুড়ি আদালতে কর্তব্যরত শেফালি রায় নামে এক মহিলা পুলিশকর্মী শনিবার রাত ১১টা নাগাদ এমন বার্তা পান। জলপাইগুড়ির আরও এক মহিলা কনস্টেবল বলেন, ‘‘আমাকে গেম খেলার জন্য মোমো মেসেজ পাঠায়। খেলতে অস্বীকার করলে পরিবার ও আমাকে খুন করবে বলে হুমকি বার্তা পাঠায়।’’ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘কেউ এমন প্রস্তাব পেলেই পুলিশকে জানান।’’