বর্ষা পৌঁছল তরাইয়ে, দক্ষিণবঙ্গে অনিশ্চিত

রাজ্যে বর্ষার মূল ধারাটি দক্ষিণবঙ্গ দিয়েই ঢোকে। তরাইয়ের শাখাটি বঙ্গোপসাগরের। মায়ানমার থেকে সেটি উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে এ দিন আলিপুরদুয়ারে ঢুকেছে। কিন্তু মৌসুমি বায়ুর মূল ধারাটি দক্ষিণবঙ্গে কবে আসবে, বলতে পারছে না হাওয়া অফিস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০২:৪৭
Share:

ছবি পিটিআই।

নির্ঘণ্ট মেনে চললে ৮ জুন এ রাজ্যে বর্ষার পৌঁছে যাওয়ার কথা। সেই জায়গায় সাত দিন দেরি করে, রবিবার সে ঢুকল পশ্চিমবঙ্গে। তা-ও ঢুকল সবে উত্তরবঙ্গের তরাইয়ে। দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমি বায়ু কবে পৌঁছবে, তার কোনও নিশ্চয়তা মিলছে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, অসমের পাশাপাশি বর্ষা এ দিন উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং প্রতিবেশী পাহাড়ি রাজ্য সিকিমে ঢুকেছে।

Advertisement

রাজ্যে বর্ষার মূল ধারাটি দক্ষিণবঙ্গ দিয়েই ঢোকে। তরাইয়ের শাখাটি বঙ্গোপসাগরের। মায়ানমার থেকে সেটি উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে এ দিন আলিপুরদুয়ারে ঢুকেছে। কিন্তু মৌসুমি বায়ুর মূল ধারাটি দক্ষিণবঙ্গে কবে আসবে, বলতে পারছে না হাওয়া অফিস। এর আগেও নানা কারণে বর্ষার দেরি হয়েছে। জুনের তৃতীয় সপ্তাহে বর্ষার আগমনের উদাহরণ রয়েছে গত কয়েক বছরের মধ্যে। কিন্তু এ বার বর্ষার যা মতিগতি, তাতে সে জুনে দক্ষিণবঙ্গে এসে পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সংশয় রয়েছে অনেকের। এর আগে কখনও গাঙ্গেয় বঙ্গে ঢুকতে মৌসুমি বায়ুর এত দেরি হয়েছিল কি না, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। সার্বিক তথ্য দিতে না-পারলেও অনেক প্রবীণ আবহবিদই সাম্প্রতিক অতীতে বর্ষার এত দেরির কথা মনে করতে পারছেন না।

দিল্লির মৌসম ভবনের খবর, বর্ষার মূল শাখা এ দিন পর্যন্ত তামিলনাড়ুর গণ্ডি পেরোতে পারেনি। জুনের প্রথম কয়েক দিনের মধ্যেই মৌসুমি বায়ু তামিলনাড়ুতে ছড়িয়ে পড়ে। আবহবিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা বেশি থাকায় এ বার বর্ষা বেশ দুর্বল। কেরলে ঢুকতেও তার দেরি হয়েছে। তার উপরে আরব সাগরের অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’র প্রভাবে বর্ষার ছন্দের দফারফা হয়েছে। আরও বেশ কিছু দিন সে আরব সাগরে সক্রিয় থাকবে। তার পরে বঙ্গোপসাগরের যদি শক্তিশালী কোনও নিম্নচাপ তৈরি হয়, সে এক ঝটকাতেই মৌসুমি বায়ুকে পূর্ব ভারতে নিয়ে আসতে পারে। বর্ষার ছন্দপতনের জন্য ভুগছে গোটা দেশ। খাতায়-কলমে বর্ষা এলেও কার্যক্ষেত্রে বৃষ্টি নামছে না। তার জেরে গোটা দেশেই ক্রমশ বাড়ছে বৃষ্টির ঘাটতি। একাধিক রাজ্যে খরা চলছে। তার দাপট বাড়তে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement