Weather

উত্তরবঙ্গে দাপিয়ে ব্যাটিং করবে বর্ষা, দক্ষিণে প্রভাব কমবে!

ঘূর্ণাবর্তের জেরে উপকূলবর্তী জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ওই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৮ ১৪:৪১
Share:

ঘূর্ণাবর্তের জেরে উপকূলবর্তী জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফাইল চিত্র।

মৌসুমীবায়ুর সক্রিয়তা এবং বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি চলবে। তবে আগামী পাঁচ দিনে উত্তরবঙ্গের তুলনায়, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।

Advertisement

যদিও ঘূর্ণাবর্তের জেরে উপকূলবর্তী জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ওই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত দু’দিনে ধীরে ধীরে মৌসুমীবায়ুর শক্তি বাড়বে উত্তরবঙ্গের আকাশে। আগামী ৩০ জুন থেকে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় দাপিয়ে ব্যাটিং করবে বর্ষা। ফলে উত্তরের বাসিন্দাদের ভোগান্তি বাড়বে। এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ থেকে ধীরে ধীরে কালো মেঘ সরবে বলেই আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

Advertisement

আরও পড়ুন:

উত্তরে ভারী বৃষ্টি, রেহাই পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ

দিঘার পথে দু্র্ঘটনা, ৫ তৃণমূল নেতা-সহ মৃত ৬

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস বলেন, “ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। তবে উত্তরবঙ্গে এখনই বৃষ্টি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।”

বুধবার সকাল থেকেই কলকাতায় আকাশে মেঘ-রোদ্দুরের খেলা চলছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। যেখানে আগে থেকে জল জমে ছিল, সেখানে পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে। জলে হাবুডুবু খাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দারা।

খিদিরপুর, ঠাকুরপুকুর, হরিদেবপুর, বেহালার বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। পার্ক সার্কাস থেকে সায়েন্স সিটিগামী রাস্তায় জল থই থই অবস্থা। জল নামানোর জন্য কলকাতা পুরসভার ৭৩টি পাম্প লাগাতার চলছে। দক্ষিণ শহরতলির বহু রাস্তার উপরে চালু রয়েছে অস্থায়ী পাম্প। দুর্যোগের সময় পুরসভার কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টাই খোলা রয়েছে। কলকাতা পুরসভার দাবি, সকালের দিকে জোয়ারের কারণে লকগেটগুলো খোলা যাচ্ছে না। দুপুরের পর লকগেট খুলে পাম্পের সাহায্যে জল নামানোর কাজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন