মোর্চার বন্‌ধে পাহাড়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার চা শ্রমিকের ডাকা বারো ঘণ্টার বন্‌ধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দার্জিলিং পাহাড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় পাহাড়ের বেশিরভাগ স্কুল কলেজ বন্ধ। যে গুলি খোলা রয়েছে সেখানেও ক্লাস হয়নি। দার্জিলিং ম্যাল লাগোয়া বাজার থেকে পাহাড়ের অন্য বাজারগুলিও বন্ধ। পাহাড়ি রাস্তায় সকাল থেকে গাড়িরও দেখা মেলেনি। চলছে না টয়ট্রেনও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৬:১১
Share:

চলছে না ট্রেন। কার্শিয়ং স্টেশনে রবিন রাইয়ের তোলা ছবি।

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার চা শ্রমিকের ডাকা বারো ঘণ্টার বন্‌ধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দার্জিলিং পাহাড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় পাহাড়ের বেশিরভাগ স্কুল কলেজ বন্ধ। যে গুলি খোলা রয়েছে সেখানেও ক্লাস হয়নি। দার্জিলিং ম্যাল লাগোয়া বাজার থেকে পাহাড়ের অন্য বাজারগুলিও বন্ধ। পাহাড়ি রাস্তায় সকাল থেকে গাড়িরও দেখা মেলেনি। চলছে না টয়ট্রেনও।

Advertisement

পাহাড় সহ ডুয়ার্স তরাইয়ের সব বন্ধ চা বাগান খোলার দাবিতে মোর্চার চা শ্রমিক সংগঠন এ দিন বারো ঘণ্টার বন্‌ধ ডেকেছে। প্রথমে বন্‌ধে শুধু পাহাড়ি এলাকাকে রাখা হলেও, পরে ডুয়ার্স-তরাইকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মোর্চার ডাকা বন্‌ধকে সমর্থন করেছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের একটি গোষ্ঠীও। যদিও, ডুয়ার্সের জনজীবনে বন্‌ধের তেমন প্রভাব পড়েনি বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে।

দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াঙে অবশ্য বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে। দিনের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হয়েছে। বন্‌ধে কোথাও পিকেটিং করা হবে না এবং পর্যটনকে বন্‌ধের আওতার বাইরে রাখা হবে বলে মোর্চার তরফে জানানো হয়েছিল। এ দিন রাস্তায় কোনও পিকেটিং চোখে পড়েনি। কিন্তু চোখে পড়েনি পর্যটকদের গাড়িও। সকাল ১১টা পর্যন্ত দার্জিলিং থেকে পর্যটকদের নিয়ে কোনও গাড়ি সমতলে বা সমতল থেকে পাহাড়ের পথে দেখা যায়নি। দার্জিলিঙের বিভিন্ন হোটেল সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন যাঁদের ফেরার কথা ছিল, তাঁরা আগের দিনই ফিরে গিয়েছেন। বারো ঘণ্টার বন্‌ধ থাকায় বিকেলের পরে কিছু পর্যটকের গাড়ি সমতলে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

Advertisement

দার্জিলিঙের কোনও চা বাগানেই এ দিন কাজ হয়নি বলে প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে। বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার অফিস পাহাড়ে বন্ধ ছিল, সরকারি অফিসেও হাজিরা ছিল সামান্যই।

দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘বন্‌ধে কোথাও কোনও পিকেটিং নেই। পর্যটকদের গাড়ি চলছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন