উত্তরপ্রদেশ জয়ের পর অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এ বার পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গাড়বেন তিনি। বলা মাত্র কাজ! পয়লা বৈশাখের আগেই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদ-সহ ৪০ জন তাবড় নেতা। কারা আছেন সেই তালিকায়? কে নেই! রাজনাথ সিংহ, উমা ভারতী, স্মৃতি ইরানি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, পুনম মহাজন, মনোজ সিংহ, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, মহেন্দ্রনাথ পান্ডে, সন্তোষ গাঙ্গোয়ার, এম জে আকবর, জয়ন্ত সিনহা প্রমুখ।
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ৬ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে ওই মন্ত্রী-সাংসদ-নেতারা রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র চষে বেড়াবেন। প্রত্যেকে একটি করে লোকসভার দায়িত্ব নিয়ে সেখানে কর্মী-বৈঠক করবেন। পাশাপাশি, সুযোগ থাকলে জনসভাও করতে পারেন ওই
নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সাংসদ ছিলেন, তখন তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ছিল কলকাতা দক্ষিণ। এখন তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এবং বাড়িও ওই লোকসভা কেন্দ্রেই পড়ে। সেখানে বৈঠক করবেন রাজনাথ। কলকাতা উত্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন স্মৃতি।
আরও পড়ুন: বিক্ষুব্ধদের টেনে লালগড়েও পদ্ম
কংগ্রেস এবং সিপিএমের কিছু জনপ্রতিনিধি এবং প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি বিজেপি-তে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তৃণমূলের অনেক নেতা বিধায়কও বার্তা পাঠাচ্ছেন। কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর, সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত আইনুল হক, ডিএসপি-র প্রাক্তন বিধায়ক প্রবোধ সিংহের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের কথা চলছে। তবে বিজেপি ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগোচ্ছে। বিশেষত বিধায়কদের দলে নেওয়ার বিষয়ে। ৬ এবং ৭ এপ্রিল কাঁথি দক্ষিণে প্রচারে যাবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আগামী ৮ এপ্রিল কলকাতায় বিজেপি-র রাজ্য পদাধিকারী বৈঠক হবে। সেখানেও কৈলাস থাকবেন।