দুর্ঘটনায় মৃত কর্মীর সব বকেয়া পাচ্ছেন মা

বৃদ্ধা মা ভানুমতী দে কসবার বাসিন্দা। তাঁর আইনজীবী কল্যাণ সরকার জানান, তাঁর মক্কেলের একমাত্র ছেলে স্বপন দে কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগের কর্মী ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৮ ০৩:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘সার্ভিস রেকর্ড’ বা চাকরির নথিতে লেখা ছিল, কেন্দ্রীর সরকারি কর্মী বিবাহিত। কিন্তু ওই কর্মী নিজেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানিয়েছিলেন, তিনি অবিবাহিত। দেওয়ানি আদালতও ওই কর্মীর মাকে বছর দুয়েক আগে সন্তানের একমাত্র ‘উত্তরাধিকারী’ ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল (ক্যাট)-এর বিচারপতি বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার নির্দেশ দিলেন, দুর্ঘটনায় মৃত ওই কর্মীর মাকেই তাঁর ছেলের যাবতীয় পাওনাগণ্ডা ছয় শতাংশ সুদ-সহ মিটিয়ে দিতে হবে। পারিবারিক পেনশনও দিতে হবে তাঁকে।

Advertisement

বৃদ্ধা মা ভানুমতী দে কসবার বাসিন্দা। তাঁর আইনজীবী কল্যাণ সরকার জানান, তাঁর মক্কেলের একমাত্র ছেলে স্বপন দে কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগের কর্মী ছিলেন। আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারে ছিল তাঁর অফিস। ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অফিস থেকে বেরিয়েই বাস-দুর্ঘটনায় মারা যান ৫৬ বছরের স্বপনবাবু। ছেলের রোজগারে দিন চলত মায়ের।

আইনজীবী জানান, ছেলের পাওনাগণ্ডা ও পারিবারিক পেনশন পেতে মা ২০১৪ সালেই আবেদন জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। বৃদ্ধাকে কর্তৃপক্ষ জানান, স্বপনবাবুর সার্ভিস রেকর্ডে লেখা আছে, তিনি বিবাহিত। অনেক টালবাহানার পরে সেই নথি মেলে। সেই নথির সঙ্গে আরও একটি নথি ছিল।
তাতে দেখা যায়, স্বপনবাবু লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, তিনি অবিবাহিত। তাঁর মা জীবিত। মা ছাড়া তাঁর আর কেউ নেই। তার পরে কর্তৃপক্ষ ওই বৃদ্ধাকে জানান, দেওয়ানি আদালত থেকে লিখিয়ে আনতে হবে যে, ছেলের একমাত্র উত্তরাধিকারিণী তিনি। তাঁর ছেলের পাওনা ১৫ লক্ষেরও বেশি টাকা। ২০১৬-র ৩০ মে দেওয়ানি আদালত থেকে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত নথি হাতে পান ওই বৃদ্ধা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন