Protest

‘ধর্ষক’ মুক্ত, আকুতি নির্যাতিতার মায়ের

বৃহস্পতিবার রাজপথের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এক মায়ের কান্না ভেজা এই আর্তি শুনল শহর। বরুণ যেখানে থাকতেন, উত্তর ২৪ পরগনার সেই সুটিয়ার কাছাকাছি অঞ্চলে তাঁর বাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৯
Share:

বরুণ বিশ্বাসের ছবি নিয়ে তাঁর দিদি প্রমীলা রায় বিশ্বাস ও টুম্পা কয়াল। বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিটের মঞ্চে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী।

গত এপ্রিলে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে এলাকারই এক যুবক। সেই যুবক প্রথমে গ্রেফতার হলেও পরে ছাড়া পেয়ে যায়। মাসের পর মাস অতিক্রান্ত। বরুণ বিশ্বাসের পরিবারের মতো তিনিও কোনও সুবিচার পাচ্ছেন না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজপথের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এক মায়ের কান্না ভেজা এই আর্তি শুনল শহর। বরুণ যেখানে থাকতেন, উত্তর ২৪ পরগনার সেই সুটিয়ার কাছাকাছি অঞ্চলে তাঁর বাস। এ দিন কলেজ স্ট্রিটে বরুণ খুনের সুবিচারের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিনি।

বরুণের হত্যাকারীর শাস্তি এবং কামদুনি নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা করে স্কুল এমপ্লয়িজ় ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। শিয়ালদহ থেকে মিছিল কলেজ স্ট্রিটে বিদ্যাসাগর উদ্যানে আসে। মঞ্চে বরুণের আত্মীয় ছাড়াও ছিলেন কামদুনি কাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়াল ও শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

সেই মঞ্চেই সবার সামনে নির্যাতিতা নাবালিকার মা বলেন, ‘‘আমি পরিচারিকার কাজ করি। আদালতে মামলার খরচ চালানোর মতো এত টাকা নেই। যে আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে, সে এলাকায় প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় রয়েছে। পকসো মামলায় ওই যুবক গ্রেফতার হয়েছিল। তার পরেও ছাড়া পায় কী করে?’’ তাঁর দাবি, ছাড়া পেয়ে সে এবং ওই প্রভাবশালী নেতা তাঁর পরিবারকে ভয় দেখাচ্ছে।

মঞ্চে ছিলেন বরুণের দাদা অসিত বিশ্বাস এবং দিদি প্রমীলা রায় বিশ্বাস। অসিত বলেন, ‘‘বরুণ হত্যাকাণ্ডে সিআইডি তদন্তে আমাদের বিশ্বাস নেই। পুলিশ আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি করছি।’’ এ দিন অসিতের দাবি, তাঁর ভাইয়ের খুনের নেপথ্যে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সরাসরি যুক্ত। টুম্পা বলেন, ‘‘কামদুনি কাণ্ডের মতো বরুণ বিশ্বাসের খুনের ঘটনাতেও কোনও সুবিচার হয়নি। এই খুনের তদন্তের দ্রুত সুবিচার চাই। খুনিদের দ্রুত শাস্তি চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন