চার-পাঁচ বছর আমরা এক সঙ্গে আছি। অন্তরঙ্গ বন্ধুই বলা চলে। মেসে একই ঘরে থাকতাম। আমারও নাম কৌশিক (কামার)। এখন এমএ পড়ি। শুভর (কৌশিক পুরকাইত) বাড়িতে আমার যাতায়াত ছিল। আমার বাড়িতে ও এসেছে অনেকবার। এমনিতে লাজুক স্বভাবের হলেও লোকের সঙ্গে মিশে গেলে খুব আন্তরিক ব্যবহার ছিল। সকলে পছন্দ করত। পড়াশোনায় মন ছিল খুবই। বলত, বাবা অনেক কষ্ট করে পড়াচ্ছে। আমাকে জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়াতেই হবে। পড়াশোনার সময়টা বাদ দিয়ে কম্পিউটার গেমস খেলতে খুব ভালবাসত আমার বন্ধু। ফেসবুক নিয়েও কম মাতামাতি করত না। সোমবার সন্ধ্যায় আমি মেসে ছিলাম না। কৌশিকও গিয়েছিল মাসির বাড়িতে। সন্ধে ৭টা নাগাদও ফোনে কথা হল। জানতে চেয়েছিলাম, ও রাতে মেসে ফিরছে কিনা। বলল, মাসির বাড়িতেই থেকে যাবে। অনেক আত্মীয়-স্বজন এসেছে। আনন্দ-ফুর্তি হচ্ছে। ওর গলা শুনেও সেটা মনে হয়েছিল। কিন্তু গভীর রাতে যে ভয়ঙ্কর খবরটা এল, তার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। ভাবতেই পারছি না, ওর মতো শান্তশিষ্ট স্বভাবের একটা ছেলেকে কেউ এ ভাবে পিটিয়ে খুন করতে পারে। তা-ও আবার মহিষ চুরির অপবাদ দিয়ে। যারা এমন জঘন্য কাজ করল, তাদের চরম শাস্তি চাইছি।