পুজো দিতে এসে ঝালদায় বৈঠকে মুকুল

ঝাড়খণ্ডে পুজো দিতে গিয়ে ঝটিকা সফরে পুরুলিয়া ঘুরে গেলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। রবিবার তিনি সস্ত্রীক হজারিবাগের ছিন্নমস্তা মন্দিরে পুজো দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৫৭
Share:

হাজারিবাগের ছিন্নমস্তা মন্দিরে। ছবি: সুজিত মাহাতো।

ঝাড়খণ্ডে পুজো দিতে গিয়ে ঝটিকা সফরে পুরুলিয়া ঘুরে গেলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। রবিবার তিনি সস্ত্রীক হজারিবাগের ছিন্নমস্তা মন্দিরে পুজো দেন। তার জন্য শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া ঝালদার একটি অতিথি নিবাসে রাত কাটান তিনি। এ দিন সকালে পুরুলিয়া-রাঁচি রোড ধরে মুরি হয়ে মুকুলবাবু ছিন্নমস্তা মন্দিরে যান। তার আগে শনিবার তিনি ঝালদায় কিছু অনুগামীর সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোও।

Advertisement

মন্দিরের পুরোহিত অসীম পান্ডে জানান, উনি গ্রহশান্তির জন্য মায়ের পুজো দিয়ে গেলেন। আর এক পুরোহিত অজিত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুকুলবাবু পুজোর পাশাপাশি হোমও করিয়েছেন।’’ ঘণ্টা তিনেক মন্দিরে কাটিয়ে বিকেলের আগে ফের ঝালদা অতিথি নিবাসের দিকে রওনা হওয়ার আগে মুকুলবাবু বলেন, ‘‘যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন এই এলাকায় একবার এসেছিলাম। তখন থেকেই এই মন্দিরে মায়ের পুজো দেওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু, কখনও আসা হয়নি।’’

শনিবারের পুরভোটে সংবাদমাধ্যমের উপরে আক্রমণ বা পুজো দেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে মুকুলবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রাজনৈতিক শিবিরের খবর, মুকুল রায় যে নতুন দল গড়তে চলেছেন, তার প্রস্তুতি পুরুলিয়াতেও চলছে। ইতিমধ্যে মুকুলপন্থী নেতারা একাধিক বার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। কলকাতাতে গিয়েও তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধি মুকুলবাবুর সঙ্গে দেখা করেছেন। শনিবার রঘুনাথপুর হয়ে ঝালদায় যাওয়ার পথে আনাড়ার অদূরে একটি জায়গায় কিছুক্ষণের জন্য মুকুলবাবু দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের কয়েক জন দেখা করেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। বেশ কয়েক জন নেতা শনিবার রাতে ঝালদার অতিথি নিবাসেও গিয়েছিলেন। ওই বৈঠক সম্পর্কে নেপালবাবু রবিবার বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কিছু বিষয় নিয়েই মুকুলবাবুর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে তা গোপনীয়।’’ যদিও বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুলবাবুর নতুন দল গঠন করলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে বিধানসভা ভোটে যাওয়া যায় কি না তা নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর কংগ্রেসে যাওয়া নিয়েও কথা হয়েছে। তবে বৈঠক সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা হয়নি।

Advertisement

মুকুল রায়ের এই ঝটিকা সফরকে ঘিরে জেলা তৃণমূলের শীর্ষ কিছু নেতার মধ্যেও কৌতূহল ছিল। জেলায় এসে কিছু নেতার সঙ্গে দেখা করতেই তিনি পুরুলিয়া শহর থেকে অত দূরে ঝালদায় রাত্রিবাস করেছেন বলে মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো অবশ্য বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন