কমিশনের ‘মস্তানি’ নিয়ে নালিশ ঠুকে এলেন মুকুল

দ্বিতীয় দফায় সরকারের ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, ভোটের সময় রাজ্যে ‘মস্তানি’ চালিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ০৯:৩০
Share:

দ্বিতীয় দফায় সরকারের ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, ভোটের সময় রাজ্যে ‘মস্তানি’ চালিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কী ভাবে সেই ‘মস্তানি’ চালানো হয়েছিল তার প্রমাণ জোগাড় করে কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেত্রী। প্রমাণ জোগাড়ের দায়িত্ব দেন সুব্রত বক্সি, মুকুল রায়কে।

Advertisement

ভোট মেটার পর কালই প্রথম বার দিল্লি আসেন মুকুলবাবু। আজ দুপুরে যান কমিশনে। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে যান। সূত্রের খবর, কমিশনের নির্দেশে ভোট করতে যাওয়া আধাসামরিক বাহিনী কী ভাবে রাজ্যে বাড়াবাড়ি করেছে সেই ছবি কমিশন কর্তাদের সামনে তুলে ধরেন মুকুলবাবু। তাঁর সঙ্গে কমিশনের দফতরে যান কংগ্রেস থেকে সদ্য তৃণমূলে আসা সম্রাট তপাদার।

দলীয় সূত্রে খবর, মুকুলবাবু বৈঠকে জানান, সুষ্ঠু ভাবে ভোটের নামে আধাসেনারা যে ভাবে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছিল, তাতে অনেক মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতে চাননি। তৃণমূলের মতে আধা সেনার ভয়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী জটলা দেখলেই বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালিয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আগাম নোটিস ছাড়াই ১৪৪ ধারা জারি করে তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, পুরসভার জলের লাইনেও ভিড় দেখে মারধর করেছে আধাসেনা। তাদের দাপটে বন্ধ করতে হয়েছে মন্দিরও।

Advertisement

ভোটে বিবেক সহায় নামে এক আইপিএস অফিসার কী ভাবে পশ্চিমবঙ্গে আধাসেনা মোতায়েনের দায়িত্ব পান, মুকুলবাবু তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের ওই আমলা আলিমুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ। ওই আমলা আলিমুদ্দিন ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশে আধাসেনা মোতায়েন করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল, তৃণমূলের ভোটারদের আটকানো।

আগামী মাস থেকে সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হবে। দলের পক্ষ থেকে কমিশনের বাড়াবাড়ির বিষয়টি নিয়ে সংসদেও সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এমনকী, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন