পঞ্চায়েতে মুকুলকে দায়িত্ব দিল বিজেপি

দলের গুঞ্জন হল, মুকুল এই কাজে সফল হলে লাভ বিজেপির। আর ব্যর্থ হলে দিলীপ ঘোষেরা বলতে পারবেন মুকুলের ক্যারিশ্মা তাঁদের দলের আর পাঁচ জন নেতার মতোই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫৪
Share:

মুকুল রায়।

পঞ্চায়েত নির্বাচন বিজেপি লড়বে তৃণমূলত্যাগী মুকুল রায়ের নেতৃত্বে। তাঁর দোসর হবেন বসিরহাটের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য।শনিবার দলের পঞ্চায়েত সম্মেলনে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে এমনই ঘোষণা করা হয়েছে। যা দেখে দলের একাংশ মনে করছেন, এ হল আসলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কৌশল।

Advertisement

দলের গুঞ্জন হল, মুকুল এই কাজে সফল হলে লাভ বিজেপির। আর ব্যর্থ হলে দিলীপ ঘোষেরা বলতে পারবেন মুকুলের ক্যারিশ্মা তাঁদের দলের আর পাঁচ জন নেতার মতোই। আরও এক বার প্রমাণ হয়ে যাবে, তৃণমূলে থাকাকালীন মুকুলের সাংগঠনিক সাফল্য আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া হিসাবেই। আলাদা ভাবে তাঁর কৃতিত্ব নেই।

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে মুকুলকে নতুন পরীক্ষার সামনে ফেলে দিলেন। সবং, নোয়াপাড়া বিধানসভা এবং উলুবেড়িয়া লোকসভার উপনির্বাচনে মুকুল ‘জাদু’ দেখাতে পারেননি। নোয়াপাড়াতে তো তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মঞ্জু বসুকে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী করতেও ব্যর্থ হন মুকুল। বিজেপির একাংশ মনে করে, উপযুক্ত দায়িত্ব না পাওয়ায় তখন তাঁর পক্ষে কাজ করা কঠিন ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক করে তাঁর ভোট-কৌশল হাতে-কলমে দেখানোর সুযোগ দেওয়া হল। অর্থাৎ, এ বার তাঁর দক্ষতার পরীক্ষা।

Advertisement

এ দিন জাতীয় গ্রন্থাগারের অডিটোরিয়ামে বিজেপির পঞ্চায়েত সম্মেলনে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মুকুল-শমীক মূল দায়িত্বে থাকলেও পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির কাজকর্ম সামগ্রিক ভাবে নজরদারি করবেন দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিংহ। মুকুল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত চাই। সুতরাং, ভোট কেমন হবে, বোঝাই যাচ্ছে। তৃণমূল সরকারের মোকাবিলা করে পঞ্চায়েত ভোটটা করাই আমার চ্যালেঞ্জ।’’ যা শুনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে বিজেপির কী করুণ অবস্থা! তবে চ্যালেঞ্জ আর নিতে হবে না, এই ভোটেই প্রমাণ হয়ে যাবে উনি চাটনি দাদু ছাড়া কিছু নন।’’

বিজেপি মনে করছে, পঞ্চায়েতে মূল সমস্যা হবে, পুলিশ-প্রশাসনের মদতে তৃণমূলের আক্রমণ সামলানো। এ ছাড়া, মহিলাদের জন্য ৫০% সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী খোঁজা, শাসক দলের হামলা-হুমকি উপেক্ষা করে মনোনয়ন জমা দেওয়া, প্রচার করা, বুথ আগলানো, গণনার দিন কেন্দ্রে হাজির থাকাও বিরাট চ্যালেঞ্জ। তার জন্য মহিলা মোর্চাকে ব্লকস্তরে সম্মেলন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement