বিমল গুরুঙ্গ
ফের ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু হল বিমল গুরুঙ্গ ও আশা গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে। গত শনিবার দার্জিলিঙের সিংমারিতে গুলিতে মৃত্যু হয় তিন মোর্চা সমর্থকের। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিমল, আশা-সহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। ২০১০ সালের ২১ মে ক্নাব সাইড রোডে মদন তামাঙ্গ খুন হওয়ার পরেও বিমল ও আশা গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ২৯ মে সিবিআই ওই মামলার চার্জশিটও দেয়।
১৫ জুন পাতলেবাসে গুরুঙ্গের বাড়ি ও পার্টি অফিসে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে নারী মোর্চা এবং যুব মোর্চার মিছিল ঘিরে ১৭ জুন রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল সিংমারি। ফাঁড়ি আক্রমণের পাশাপাশি এ দিন ছ’টি পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আইআরবি-র এক অফিসারকে খুকুরি দিয়ে কোপানো হয়। পুলিশের অভিযোগ, পাথর ও পেট্রোল বোমা ছোড়ে মোর্চা সমর্থকরা। গুলিতে তিন মোর্চা সমর্থক মারা যান। ওই ঘটনাতেই দায়ের হওয়া খুনের মামলায় বুধবার গুরুঙ্গ দম্পতির নাম জুড়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চর্তুবেদি বলেছেন, ‘‘সিংমারিতে ঘটনায় তদন্তে যাদের নাম উঠে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।’’ ঘটনার দিন পুলিশের তরফে গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি করা হলেও বিমল গুরুঙ্গ বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘সে দিন পুলিশই গুলি চালিয়েছিল। সেই গুলি আমাদের কাছে আছে। গুলি চালানোর ফুটেজও আছে।’’
আরও পড়ুন:সর্বদলের পরে হুঙ্কার গুরুঙ্গের
এ দিকে পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করার পরেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুলেছেন মোর্চার সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের বক্তব্য অনুসারে, আমরাই না কি আমাদের কর্মীদের খুন করেছি। আমাদের কাছে গুলির খালি কাতুর্জ রয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার নানা ভাবে তাঁদের নেতানেত্রীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হেনস্থা করতে চাইছে। তাঁর কথায় ‘‘সবাই দেখেছে, পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে। আমরা গ্যাংটকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছি।’’