জল থেকে তোলা হচ্ছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিকে। —ফাইল চিত্র।
পুলিশি তদন্ত চলছেই। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী কিন্তু চান, কলকাতা হাইকোর্টের গড়ে দেওয়া কমিটিই দৌলতাবাদের বাস-দুর্ঘটনার তদন্ত করুক। সেই জন্য কর্মরত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতার কমিটি গড়ার আবেদন জানিয়ে বুধবার হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
২৯ জানুয়ারি বালির ঘাট সেতুর রেলিং ভেঙে একটি বেসরকারি বাস ভাণ্ডারদহ বিলে পড়ে যাওয়ায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। অধীরবাবুর আইনজীবী প্রতীপকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির রুট পারমিট ছিল কি না, রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বা আঞ্চলিক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ সেই পারমিট মঞ্জুর করেছিলেন কি না, কোর্ট কমিটিকেই তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হোক। মুর্শিদাবাদে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষিত কর্মী না-থাকায় উদ্ধারে বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। অন্য জেলা থেকে ডুবুরি ও অন্য প্রশিক্ষিত কর্মী এনে কাজে লাগানো হয়। কেন এত দিনেও মুর্শিদাবাদে বিপর্ষয় মোকাবিলা দল গড়া গেল না, তা অনুসন্ধান করে দেখা হোক। প্রয়োজনে ওই জেলায় প্রশিক্ষিত বিপর্যয় মোকাবিলা দল গঠনের জন্য রাজ্য সরকারকে তহবিল গড়ার নির্দেশ দিক প্রস্তাবিত কমিটি।
সাংসদের আইনজীবী জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় যে-সব মৎস্যজীবী বিলে নেমে ১৩ যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন, তাঁদের কোনও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়নি। ওই মৎস্যজীবীদেরও আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও বলা হয়েছে, মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকার বদলে ২০ লক্ষ টাকা এবং যাঁরা ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লক্ষ টাকার বদলে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিক আদালত।