দল বলছে পাশেই আছি 

  তাদের দাবি, জরুরি বিভাগে আনার পথে মৃত্যু হয়েছিল অণিমা মণ্ডলেরর। কোথা থেকে কারা তাঁকে জরুরি বিভাগে এনেছিল তাও পরিস্কার নয়। মৃতের পরিবারের লোকজনকে না পাওয়ায় সেই মৃতদেহ দাবিহীন অবস্থায় মর্গে পাঠানো হয়েছিল। তবে মৃতের পরিবারের দাবি, আগুনের জেরে পদপিস্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০২:৪৭
Share:

করিডরে ফের ছড়িয়েছে ভিড়। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

মু্র্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জেরে মহিলার মৃত্যু নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রেখে দিল কর্তৃপক্ষ। মৃতার পরিবারের দাবি, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগুন লাগার পর নিচে নামতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। যদিও বৃহস্পতিবারও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই মহিলার কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা এখনও পরিস্কার নয়।

Advertisement

তাদের দাবি, জরুরি বিভাগে আনার পথে মৃত্যু হয়েছিল অণিমা মণ্ডলেরর। কোথা থেকে কারা তাঁকে জরুরি বিভাগে এনেছিল তাও পরিস্কার নয়। মৃতের পরিবারের লোকজনকে না পাওয়ায় সেই মৃতদেহ দাবিহীন অবস্থায় মর্গে পাঠানো হয়েছিল। তবে মৃতের পরিবারের দাবি, আগুনের জেরে পদপিস্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিও উঠেছে।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যুর বিষয়টি হাসপাতাল মেনে নিলে স্বাস্থ্য দফতরের উপর দায়বদ্ধতা বর্তাবে। ভোটের মুখে বিরোধীরা তা ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করতে পারে ভেবে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর বিষয়টিকে গোপন রাখতে চাইছেন।’’ তাঁর দাবি, সরকারের গায়ে কালো দাগের ছিটে যাতে না লাগে তাই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করছে হাসপাতাল।

Advertisement

তবে, তৃণমূলের মধ্যেই এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ জমেছে। দলের এক পদস্থ নেতা বলেন, ‘‘এ ভাবে অস্বীকার করার কি ছিল। এতে হিতেবিপরীত হবে। সরকারি দফতরের এ ভাবে দায় এড়ানো আমাদের বিরুদ্ধে যাবে।’’ তিনি মনে করেন এ ভাবে অস্বীকার করলে বিরোধীরা বিষয়টি ‘ইস্যু’ করবে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আগুন লাগার খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের মোশারফ হোসেন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘অগ্নিকাণ্ডের জেরে পদপিষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে শুনেই মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই মহিলার কিভাবে মৃত্যু হল তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। শুনেছি তাঁরা এ বিষয়ে তদন্ত করছে। আমরা মৃতের পরিবারের পাশে আছি।’’

যদিও হাসপাতালের সুপার দেবদাস সাহা বলেন, ‘‘আমরা ধামাচাপা দিতে যাব কেন? আমরা রেজিস্টার দেখেছি ওই মহিলার নামে হাসপাতাল কোনও টিকিট ইস্যু হয়নি। মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। কোথায় থেকে, কারা তাঁকে নিয়ে এসেছিল তা পরিস্কার নয়। তাই পদপিস্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন বিষয় জানা নেই।’’মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উালাগানাথন বলেন, ‘‘হাসপাতাল সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন