বৈশাখীর বিয়েতে সাহায্য ফজিলার

বিয়ের খরচ কী ভাবে উঠবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের গলসির আটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিদাম বাগদি। জানতে পেরে ওই দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়়ালেন লোয়া-রামগোপালপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ফজিলা বেগম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩৫
Share:

মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে। কিন্তু, বিয়ের খরচ কী ভাবে উঠবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের গলসির আটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিদাম বাগদি।

Advertisement

জানতে পেরে ওই দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়়ালেন লোয়া-রামগোপালপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ফজিলা বেগম। তাঁর কথায়, ‘‘এটা আমার কর্তব্য। ভাতার টাকা থেকে সাহায্য করেছি।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেতমজুর ছিদামবাবুর একমাত্র মেয়ে, বছর উনিশের বৈশাখীর বিয়ে ঠিক হয়েছে ১৯ এপ্রিল। পাত্র, গলসিরই সাঁকো গ্রামের এক যুবক। ছিদামবাবুর স্ত্রী বছর দশেক আগে মারা গিয়েছেন। মেয়ের বিয়ে ঠিক করার পরে আত্মীয় এবং প়ড়শিদের কাছে সাহায্য চান। তার পরেও পুরো টাকা ওঠেনি। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানতে পারেন ফজিলা। বৃহস্পতিবার বাবা-মেয়েকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দেন প্রধান। ছিদামবাবু বলেন, ‘‘খুব চিন্তায় ছিলাম। ফজিলা ভাবি পাশে দাঁড়ানোয় অনেকটা নিশ্চিন্ত।’’

Advertisement

ফজিলা চেয়েছিলেন পাত্রপক্ষকে লুচি, মিষ্টি খাওয়াতে। তা শুনে কিন্তু কিন্তু করেও ছিদামবাবু বলেন, ‘‘বিয়েতে মাংস-ভাত না হলে কি চলে!’’ পাত্রীর বাবার এই ইচ্ছেতেই সায় দেন ফজিলা। জানান, মাংস-ভাতের দায়িত্ব তাঁর। ফজিলা বলেন, ‘‘বিয়েটা আমরা সবাই মিলে পার করে দেব।’’

সরকারি ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের সুবিধা যাতে বৈশাখী পায়, তার জন্যও চেষ্টা করা হবে বলে জানান ফজিলা বেগম। বৈশাখীর কাকিমা টগরি বাগদি, গ্রামবাসী ডালিম মণ্ডল বলছেন, “বিপদের সময় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধান মানবিকতার নজির রেখেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন