Mysterious death

Mysterious Death: জুনিয়র ডাক্তারের রহস্যমৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে, আত্মহত্যা নাকি খুন তদন্তে পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোবারক হোসেন (২৩)। তিনি মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি হাউস স্টাফ ছাত্র ছিলেন। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২১ ১৬:৫১
Share:

মৃত জুনিয়র ডাক্তার মোবারক হোসেন। (ডান দিকে) ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোবারক হোসেন (২৩)। পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা মোবারক মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। তাঁর এক সহপাঠীর দাবি, বুধবার ভোরে বয়েজ হস্টেলের তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে যান মোবারক। সেই সহপাঠীই মোবারকের বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানান। মোবারকের বাবা শেখ হাফিজুল বলেন, “ভোরে ছেলের এক সহপাঠী ফোন করে আমাদের বলেন মোবারকের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতালে ভর্তি।” সেই খবর পেয়েই তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে যান মোবারকের পরিবার। কিন্তু তত ক্ষণে ওই জুনিয়র ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছিল।

হাফিজুলের অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। দেহ ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন মিলেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। ১৫ অগস্ট সার্জারি বিভাগের হাউস স্টাফ হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মোবারকের। সোমবারই ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয় হাফিজুলের।

Advertisement

মৃতের মামা সফিকুল হাসান শেখ বলেন, “কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না মোবারকের। একটি মেয়ের সঙ্গে দু’বছর আগে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মোবারকের। পরে সে বাড়িতে জানায় মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে।” তবে এটা আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা নয় বলেই দাবি সফিকুলের। তিনি জানান, মোবারকের ঘাড়ের কাছে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ সফিকুলের।

মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র শাহ আলমের দাবি, রাত আনুমানিক পৌনে ৩টে নাগাদ হঠাৎ ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনে চেঁচামেচি শুরু হয়। তাঁরা বাইরে এসে দেখেন মোবারক নীচে পড়ে আছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেই অবস্থায় মোবারককে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আলমের দাবি, কিছু একটা ঘটেছিল। তবে আত্মহত্যা কিনা সেটা ঠিক বলতে পারবেন না।

মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল বলেন, “এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ওই ছাত্রকে বাঁচানোর অক্লান্ত চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।” তবে মোবারকের বাড়ির লোকেরা ‘তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে’ বলে যে অভিযোগ তুলেছেন সে সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি অধ্যক্ষ।

ডেপুটি পুলিশ সুপার সৌভিক পাত্র এবং বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে গিয়ে হস্টেলের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন। ডাকা হয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। ডিএসপি বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তবেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন