ভোটে শাস্তির তথ্য চাইল নবান্ন

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৪ ও ২০১৬ সালের লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে গোলমাল পাকানোর সংক্রান্ত মামলায় ক’জনের শাস্তি হয়েছে, সব জেলা থেকে সেই তথ্য চেয়েছে নবান্ন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৮
Share:

নবান্ন।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তথ্য জোগাড় করছে রাজ্য সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৪ ও ২০১৬ সালের লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে গোলমাল পাকানোর সংক্রান্ত মামলায় ক’জনের শাস্তি হয়েছে, সব জেলা থেকে সেই তথ্য চেয়েছে নবান্ন।

Advertisement

এর মধ্যেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে আজ, মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলন করার কথা রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের। পুলিশ কমিশনার বা পুলিশ সুপারদের ওই বৈঠকের নির্যাস আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক রিপোর্টের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

তিন দিনের সফরে চলতি সপ্তাহে কমিশনের ফুল বেঞ্চের রাজ্যে আসার কথা। শুক্রবার সকালে নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে তারা। সেখানে কমিশন ফের রিপোর্ট চাইলে নবান্নকে যাতে নীরব থাকতে না-হয়, তারই প্রস্তুতি চলছে। পুলিশের নোডাল অফিসারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠক করার কথা কমিশনের ফুল বেঞ্চের।

Advertisement

কমিশন ২২ জানুয়ারি দিল্লি থেকে ভিডিয়ো-সম্মেলনে জানতে চেয়েছিল, গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে যারা গোলমাল করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুধু চার্জশিটেই সন্তুষ্ট হয়নি কমিশন। ক’জনের সাজা হয়েছে, সেই তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। নির্দেশের পরে কয়েকটি জেলা থেকে সেই রিপোর্ট নবান্নে পৌঁছেছে।

প্রশাসনিক বক্তব্য, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার কথা পুলিশের। কী সাজা হবে, তা সম্পূর্ণ পুলিশের উপরে নির্ভর করে না। তবু কমিশনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করতে চাইছে না রাজ্য। কারণ, শুরুতেই কমিশনের নির্দেশকে ‘মান্যতা’ না-দিলে রাজ্য সম্পর্কে নির্বাচন সদনের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে। লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘অকারণে’ ভাবমূর্তি ক্ষূণ্ণ করতে নারাজ রাজ্য প্রশাসন।

অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে কোনও ভাবেই আপস করতে রাজি নয় কমিশন। সেই জন্যই গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে গোলমালে জড়িতদের সাজা সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য-সহ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। কারণ, ভোটের সময় বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে ওই রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেই অনুযায়ী এলাকায় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে পারবে কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement