শান্তি নষ্টে রুষ্ট নবান্ন

সরকারি সূত্রের খবর, চারটি পুরসভা এবং জিটিএ মিলে আগামী ২-৩ মাস ধরে পাহাড়ে পুরোদস্তুর উন্নয়নের কাজে নামার জন্য বিনয়, অনীতকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:১৫
Share:

অনির্দিষ্টকালের পাহাড় বন্‌ধ উঠে গিয়েছে। দোকানপাট, পুরসভা, অফিস কাছারিতে নিয়মিত কাজ চলছে। চা বাগানগুলোও খুলছে। কিন্তু শীতকাল বা সুখার মরসুমে পাহাড়ে বাসিন্দাদের রেশন, পানীয় জল এবং কর্মসংস্থানের দিকে নিয়মিত নজর রাখার জন্য জিটিএ প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাঙ্গকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকালে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বিনয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনীত থাপাও। সেই সঙ্গে, এ দিন সকালের ঘটনার পরে পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার চক্রান্ত বরদাস্ত করা হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের প্রতিনিধিদের জানিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, চারটি পুরসভা এবং জিটিএ মিলে আগামী ২-৩ মাস ধরে পাহাড়ে পুরোদস্তুর উন্নয়নের কাজে নামার জন্য বিনয়, অনীতকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে রেশন ব্যবস্থা যাতে কোনওভাবেই সমস্যার মুখে না পড়ে, তা দেখতে বলেছেন। পাশাপাশি, শীতের সময় পাহাড়ে কর্মসংস্থানের সমস্যা হয়। চা বাগানেও কম কাজ হয়। সেখানে তাই ১০০ দিনের কাজ বজায় রাখা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়াও, পর্যটন থেকে রাস্তাঘাট-সহ পরিকাঠামোর আর কী কী কাজ করা দরকার, তা প্রকল্প ধরে ধরে তৈরি করে বিনয়দের নবান্নে জানাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিনয় বলেন, ‘‘উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আমরা পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নের কাজ চাই।’’

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি ফিরে বিনয় জানিয়েছিলেন, উন্নয়নের কাজের পাশাপাশি পাহাড়ে পর্যটনের জোর দেওয়া হবে। দার্জিলিং কার্নিভ্যাল হয়নি। তাই তাঁরা দার্জিলিং টুরিজম ফেস্টিভ্যাল করবেন। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে পর্যটকেরা আসুন। আমরা তাঁদের নিরাপত্তা, দেখভালের ব্যবস্থা করব।’’

শুক্রবার সিংলার জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ের পর পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহল নতুন করে চিন্তায় পড়েছিলেন এ দিন সকালে।

এই প্রসঙ্গে বিনয়পন্থী পাহাড়ের মোর্চা নেতারা জানান, এ দিন সকালে পাহাড়ে ফের বন্‌ধের গুজব রটে। বিমল গুরুঙ্গের লোকজন তা বাজারে ছাড়ে। মানুষ এতে কানই দেননি। শহরে পরিস্থিতি ঠিকই রয়েছে। তাই পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে আসতেই পারেন। আর যা হচ্ছে, সব শহরের অনেক দূরে দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গল, নদী এলাকায়। তাই উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যেতে পারলে, পাহাড়ের পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন