ঋতম-অত্রিকে নিয়ে উচ্ছ্বাস কলেজিয়েটে

কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল এ বার জোড়া কৃতির আলোয় আলোকিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ০২:০৮
Share:

(বাঁ দিকে) ঋতম নাথ ও অত্রি বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র

অষ্টম থেকে একেবারে দ্বিতীয় স্থানে! ভাল রেজাল্ট হবে আসা করেছিল ঋতম, কিন্তু উন্নতির লাফটা এত উঁচু দিতে পারবে নিজেও ভাবেনি। কৃষ্ণনগর কলিজিয়েট স্কুলের ছাত্র ঋতম নাথ মাধ্যমিকে হয়েছিল অষ্টম, এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৬ নম্বর পেয়ে সে রাজ্যে দ্বিতীয়।

Advertisement

কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল এ বার জোড়া কৃতির আলোয় আলোকিত। ঋতমের সহপাঠী অত্রি বিশ্বাস এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে। যুগলের ফলাফলে উচ্ছ্বসিত এই প্রাচীন স্কুল।

আইআইটি-তে পড়ার স্বপ্ন দেখে ঋতম। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের দিনই কল্যাণীতে তার আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল। বাবা পার্থপ্রতিম নাথ স্কুল শিক্ষক। গোটা পরিবার শুধুই মগ্ন থেকেছে ছেলের পড়াশোনা নিয়ে।

Advertisement

নির্দিষ্ট কোনও পড়ার সময় ছিল না ঋতমের। যখন ইচ্ছে করেছে তখনই বই নিয়ে বসেছে। ঋতম বলে, “খোলাধূলার সময় ছিল না। গল্পের বইয়ে আমার কোনও আকর্ষণ নেই। শুধু সিলেবাসের বই পড়তে ভালবাসি। আর সময় পেলে মোবাইলে গান শুনি। গেম খেলি। টিভিতে খেলা দেখতে ভালোবাসি। বিরাট কোহলি প্রিয় ক্রিকেটার।’’ স্পষ্টবাদী ঋতম বলে, “এত ভাল নম্বর আসা করিনি। আমি শুধু ভাল পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। সেটা দিয়েছি।”

তারই অন্যতম সহপাঠী অত্রি বছর দুয়েক আগে মাত্র দুই নম্বরের জন্য মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। তার পর ভিতরে-ভিতরে লড়াইটা চালিয়েছে। দিনে দশ থেকে বারো ঘণ্টা পড়েছে। খুঁটিয়ে শেষ করেছে সিলেবাস। মায়ের কাছ থেকেই সে প্রথম জানতে পেরেছে এ বারে মেধা তালিকায় থাকার কথা। অত্রি গল্পের বই নিয়ে বসতে ভালবাসে। প্রিয় লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ফেলুদা, শার্লক হোমস-ও প্রিয়। ভাল লাগে ক্রিকেট। কিন্তু নিজে বিশেষ খেলতে পারে না। তারও প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি।

অত্রি এ বার ৪৯০ নম্বর পেয়েছে। তার দেশের বাড়ি করিমপুরের জমশেরপুর। জমশেরপুর হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে সে কৃষ্ণনগর কলিজিয়েট স্কুলে নবম শ্রেনিতে ভর্তি হয়। বাবা গোপেন বিশ্বাস ও মা জ্যোৎস্না বিশ্বাস দু’জনেই শিক্ষক। তাদের কাছ থেকে সে প্রতিনিয়ত সাহায্য পেয়েছে। ইংরাজি ও বাংলায় এক জন করে গৃহশিক্ষক ছিল। বাকি বিষয়ে ছিল দুই জন করে গৃহশিক্ষক। পাশাপাশি সে স্কুলের শিক্ষকদের কাছেও সমান ভাবে কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছে। সহপাঠীদের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে নিয়মিত পড়াশোনার বিষয়বস্তু আদানপ্রদান করত সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন