২০টি নলকূপ চুরি, জলকষ্ট মুর্শিদাবাদে

ভোটের মুখে সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদ পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ওর্য়াডে ২০টি নলকূপ চুরি হয়েছে। ভরা চৈত্রে নলকূপ চুরি হওয়ায় জল কষ্টে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিকে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হয়ে যাওয়ায় কারণে পুরসভা নিজস্ব তহবিল থেকে নলকূপগুলি দ্রুত সারাতেও পারছে না। ঘটনাটি বিরোধীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস শাসিত পুরবোর্ডের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩০
Share:

ভোটের মুখে সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদ পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ওর্য়াডে ২০টি নলকূপ চুরি হয়েছে। ভরা চৈত্রে নলকূপ চুরি হওয়ায় জল কষ্টে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিকে নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হয়ে যাওয়ায় কারণে পুরসভা নিজস্ব তহবিল থেকে নলকূপগুলি দ্রুত সারাতেও পারছে না। ঘটনাটি বিরোধীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস শাসিত পুরবোর্ডের।

Advertisement

১৬ ওয়ার্ড বিশিষ্ট মুর্শিদাবাদ পুরসভার জলের লাইন না যাওয়ায় ১১, ১২, ১৪, ১৬ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জলের জন্য নির্ভর করতে হয় নলকূপের উপর। এ দিন রাতে কে বা কারা নলকূপগুলি চুরি করে নিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। পুরসভার পুরপ্রধান শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘ভোট ঘোষণার পরপরই এই ঘটনা ঘটল। এর পিছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে। বর্তমান পুরবোর্ডকে হেয় করার জন্য এটা করেছে। গরমের মধ্যে মানুষ জল না পেয়ে কষ্টে রয়েছেন।’’

১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নারকেলতলা এলাকার বাসিন্দা সুধীর মণ্ডল, গোপাল মণ্ডলরা বলেন, ‘‘বাড়ির কাছে জলের পাইপ লাইন নেই। ফলে নলকূপগুলি চুরি যাওয়ায় এই গরমের মধ্যে সমস্যায় পড়েছি।’’ একইভাবে সমস্যার কথা শুনিয়ে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিঠু বিশ্বাস বলেন, ‘‘জলের জন্য নলকূপই আমাদের একমাত্র ভরসা। নলকূপ চুরি হওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছি।’’

Advertisement

বিরোধীরা অবশ্য পুরপ্রধানের অভিযোগ মানতে নারাজ। গেল ভোটে নির্দল হয়ে নলকূপ চিহ্নে ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন বিশ্বজিৎ ধর (তারক)। এ বার তিনি শাসকদলের ভোট বৈতরণী পার হওয়ার অন্যতম হাতিয়ার। তিনি বলেন, ‘‘নলকূপ চুরি হওযায় মানুষ প্রবল সমস্যায় পড়েছেন। এই কাণ্ডের হোতাদের পুলিশ খুঁজে বার করুক। আমাদের দলের কেউ এই ধরর নোংরা কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। পুরপ্রধান ভিত্তিহীন কথা বলছেন।’’ লালবাগের মহকুমা শাসক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নলকূপ চুরির অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত নতুন নলকূপ বসানোর চেষ্টা করছি।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন